দুই বছরে শিক্ষার্থীদের পাহাড় সমান ক্ষতি পোষাবে কিভাবে ?

110
দুই বছরে শিক্ষার্থীদের পাহাড় সমান ক্ষতি পোষাবে কিভাবে ?

করোনায় প্রায় ১৭ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। যা ব্যাপক ক্ষতি করেছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এই ক্ষতি পোষাতে দীর্ঘ মেয়াদী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপুমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, HSC এবং  SSC শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়মিত হবে।  ১ম,২য়,৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণীর ক্লাস সপ্তাহে এক দিন হবে। প্রতি ক্লাস হবে ৩-৪  ঘন্টা করে। মাস্ক পরে সকলকে শ্রেণী কক্ষে যেতে হবে।  মানতে হবে স্বাস্থবিধি, সামাজিক দূরত্ব। কারো বাসায় করোনা রোগী থাকলে তাকে স্কুলে আসতে হবে না।

প্রশ্ন উঠছে এসব নির্দেশনা বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের পালন করাতে পারবে কিনা?

শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগুলো মোটাদাগের। ক্ষতিগুলো এক বছরেও মূল্যায়ন করা যায়নি। পড়াশোনার বাইরে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা ঘিরে। এগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা এখন প্রশ্ন?

শিক্ষাবিদগণ বলেছেন – শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হলে দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করতে হবে।

অন্য খবর  সুতাহীন জালে ধরা পড়ছি আমরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম নিউজ৩৯ কে বলেন,  শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কতটুকু তা পরিমাপ করা কঠিন। তবে সামান্য কিছু পড়িয়ে পরীক্ষা নিলে দীর্ঘ মেয়াদী এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

দোহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামিম বলেন, সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা পালন করা কষ্টসাধ্য। কেননা আমাদের বিদ্যালয় গুলোর অবস্থা নাজুক। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম। স্বাস্থবিধি মেনে পাঠদান সম্ভব নয়।

কার্তিকপুর  উচ্চবিদ্যালয়ের  সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য দরকার নিয়মিত পাঠদান। করোনার প্রভাব ব্যাপকভাবে তাদের উপর পরেছে। প্রভাব কাটাতে হলে তাদের নিয়মিত চর্চা প্রয়োজন ।

আপনার মতামত দিন