আই জি আর জজ মান্নান বলেছেন, ‘দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ব। তবেই তার আত্মা শান্তি পাবে। খুনিদের বিচার করেছি। বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। একটাই কাজ দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা।
সোমবার দুপুরে পদ্মা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
৭ই মার্চের ভাষণের স্মৃতিচারণ করে আই জি আর জজ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন সমাজের পরিবর্তন করতে হলে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের প্রতি ছিল তার অগাধ বিশ্বাস, ভালবাসা আর মমত্ববোধ। মানুষের মধ্যে তিনি উঁচু-নিচু ভেদাভেদ করতেন না। যেকোনো মানুষ তার কাছে এলে তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আজ অনেক অজানা তথ্য দেশের ভেতর ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বেরিয়ে আসছে। ফলে মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু দিনে দিনে আরও নতুন রূপে উন্মোচিত হচ্ছেন।
উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদ্বষ্টা মেজর জেনারেল ডাঃ এ আর খান। তিনি বলেন, মানুষের প্রতি ভালবাসাই বঙ্গবন্ধুকে মহান নেতায় পরিণত করেছে। তাই বঙ্গবন্ধু আজও বেঁচে আছেন লাখো-কোটি বাঙালির মনে।
এরপর প্রজেক্ট শো এর মাধ্যমে বংবন্ধু’র ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এর রঙ্গিন রুপান্তর ও জীবনী প্রদর্শিত করেন প্রভাষক তারেক রাজীব ও আলমগীর হোসেন শিশির।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, যুবলীগ নেতা মুসা, ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পাঠাগার সম্পাদক গিয়াসুদ্দিন সোহাগ। এ সময় সোহাগের আহবানে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রায় ৪০০ ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে খিচুড়ী বিতরণ করা হয়া ও দোয়া – মোনাজাত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুল হায়দার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র প্রভাষক আব্দুল জলিল।