ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ

দোহারে শাহজাহান মোল্লা, নবাবগঞ্জে সাইফুল ইসলাম ও সংরক্ষিত আসনে মাহমুদা আক্তার বিজয়ী

1491
ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ

ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত বেসরকারী ফলাফলে সদস্য পদে দোহার (১৫ নাম্বার ওয়ার্ড) থেকে বিজয়ী হয়েছেন শাহজাহান মোল্লা, নবাবগঞ্জের ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম। তবে ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে ওয়াহিদুজ্জামান রনি ও আরিফুর রহমান দু’জনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় তাদের ফলাফল লটারীর মাধ্যমে চুড়ান্ত করা হবে। আর দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার তিনটি ওয়ার্ড মিলে সংরক্ষিত নারী আসন-৫ এ বিজয়ী হয়েছেন নবাবগঞ্জের মাহমুদা আক্তার।

দোহার উপজেলা তথা ১৫ নাম্বার ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান মোল্লা (অটোরিক্সা) ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির (ক্রিকেট ব্যাট) পেয়েছেন ৩৭ ভোট, নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তৈয়বুর রহমান তরুন (তালা) ও রাকিব বিন হাসেম রিপন (ঘুড়ি) দুজনে পেয়েছেন ৬ ভোট করে। এছাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান (বৈদুতিক পাখা) ২ ভোট, আবুল বাশার (হাতি) ও শামীম বেপারী (ঢোল) পেয়েছেন ১ ভোট করে। কোন ভোট পাননি পৌর স্বেচ্ছাবেক লীগের সভাপতি মোঃ সালাউদ্দিন (টিউবওয়েল )।

দোহারের এ কেন্দ্রে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী শামীমা আক্তার বিথী (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৬২ ভোট। এছাড়া আনারকলি পুতুল (হরিণ) ৩১ ভোট, মাহমুদা আক্তার (দোয়াত কলম) ৮ ভোট ও জয়নব বেগম জলি (ফুটবল) পেয়েছেন ৪ ভোট। এ কেন্দ্রে কোন ভোটই পাননি রেশমা আক্তার (মাইক)। দোহারে মোট ভোটার ছিল ১০৭ জন। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১০৬ জন ভোটার। বাতিল হয়েছে ১টি ভোট।

অন্য খবর  দোহারে সাংবাদিককে প্রানে মারার হুমকি

অপরদিকে, ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল চুড়াইন, গালিমপুর, আগলা, বক্সনগর, বাহ্রা, শোল্লা ও কৈলাইল ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৮ জন প্রার্থী। এ ওয়ার্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম ২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পত্তনদার মোহাম্মদ রাকিব, তিনি পেয়েছেন ২০ ভোট। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাসেত ১৬ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আওলাদ ১৪ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা ৭ ভোট, বক্সনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন খান ৬ ভোট, ভাস্কর চৌধূরী ১ ভোট। এ কেন্দ্রে কোন ভোটই পাননি শামীম মাহমুদ।

১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের কেন্দ্রে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী মাহমুদা আক্তার (দোয়াত কলম) পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৪৭ ভোট। এছাড়া রেশমা আক্তার (মাইক) ২৬ ভোট, শামীমা আক্তার বিথী (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ২১ ভোট, আনারকলি পুতুল (হরিণ) ১৬ ভোট। এ ওয়ার্ডে কোন ভোট পাননি জয়নব বেগম জলি (ফুটবল)।

নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল শিকারীপাড়া, জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, নয়নশ্রী, বান্দুরা, কলাকোপা ও যন্ত্রাইল ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬ জন প্রার্থী। এ ওয়ার্ডে ওয়াহিদুজ্জামান রনি ও আরিফুর রহমান খান সমান সংখ্যক ৩৫ ভোট করে পেয়েছেন। দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। এ ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থীদের মধ্যে পলাশ চৌধূরী পেয়েছেন ১৬ ভোট, নাসির উদ্দিন পান্নু ৫ ভোট, স্বপন কুমার সরকার ২ ও আকমল হোসেন ১ ভোট।

অন্য খবর  শিকারীপাড়া তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজে ৪ দিন ব্যাপী বিজয় মেলা

এ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনে সর্বোচ্চ ৬৩ ভোট পেয়েছেন মাহমুদা আক্তার (দোয়াত কলম)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীমা আক্তার বিথী (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ১০ ভোট।

সবমিলিয়ে দোহার ও নবাবগঞ্জের তিনটি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত সংরক্ষিত নারী আসন-৫ এ বিজয়ী হয়েছেন মাহমুদা আক্তার (দোয়াত কলম)। তিন কেন্দ্র মিলে তিনি পেয়েছেন সর্বমোট ১১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীমা আক্তার বিথী (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ৯৩ ভোট। ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ এর পর বিজয়ীরা উচ্ছাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

আপনার মতামত দিন