চার বছর ধরে দেবে আছে ঢাকার দোহার উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ লটাখোলা সেতুটি। তখন থেকেই সামান্য যান চলাচলেই দুলতো সেতুটি। ইতোপূর্বে পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। ফলে যেকোনো সময় সেতুটি ধসে বন্ধ হয়ে যেতে চার গ্রামের যোগাযোগ, ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা।
স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হরিচন্ডি, রামনাথপুর, বিলাসপুর ও চর-লটাখোলা গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিত পড়েছেন। ব্রিজটিতে রিকশা-ভ্যান, অটোগাড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন তারা। দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার চরাঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। মাঝে মাঝে ব্রিজের ওপরই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। দোহার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, আশির দশকের প্রথম দিকে ঢাকা জেলা পরিষদের অর্থায়নে দোহার পৌরসভায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এখন ধসে যাওয়া সেতুটি আকারে বড় হওয়ায় সংস্কার করাও সম্ভব নয়।গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির ছয়টি পিলারের মধ্যে দুটি পিলার দেবে একাংশ উঁচু-নিচু হয়ে আছে। সেতুর দুপাশের নিরাপত্তাবেষ্টনীর বেহালদশা।যান চলাচলের সময় ভয়ঙ্করভাবে দুলে ওঠে সেতুটি।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2024/06/rashed-chokder-adha24-min.jpg)
দোহার উপজেলা প্রকৌশলী সুশীল কুমার সরকার বলেন, ‘সেতুটি জেলা পরিষদ নির্মাণ করলেও এখন এলজিইডির মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যতদূর জানি, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন।’ একই কথা বলেন দোহার পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম মিয়া।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমীন বলেন, ‘সেতুটি অনেক বড়। এটি পুনর্নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে চিঠি পাঠিয়েছি। এখনো চিঠির কোনো জবাব পাইনি। পুনর্নির্মাণের আগ পর্যন্ত সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। আপাতত লোকজন চলাচল করার জন্য একটু ফাঁকা রাখা হয়েছে।’
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2023/08/protiva-coaching-ad-primary-teacher-2023-min.jpg)