চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের মুকসুদপুর-মইতপাড়া সড়ক। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রায় হাজারো গ্রামবাসী। জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে উপজেলার মুকসুদপুরের মইতপাড়া এলাকায় ইট সলিংয়ের কাজ হয় এ সড়কে। এর কয়েক মাস পরে সড়কটি ভেঙে পরে যায় পাশের খালে। কিন্তু ঠিক করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি গত ৬ বছরেও।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম মোল্লা জানায়, এ সড়কটির জন্য ভোগান্তিতে পরেছি আমরা সকল এলাকাবাসি। কয়েক দফা জনপ্রতিনিধি ও নেতা কর্মীদের কাছে ধরনা দিতে দিতে আমরা আজ ক্লান্ত হয়ে পরেছি। পরে আমার নিজেস্ব অর্থায়নে কয়েকটি খনা খন্দন স্থানে মাটি দিয়ে ভরাট করি। যে কাজটি করার কথা জনপ্রতিনিধিদের সে কাজটি আমি করেছি আমার নিজস্ব অর্থে। আবার কয়েক দফায় গাড়ি চলাচল করায় ফের সড়কটি খনা খন্দনে পরিনিত হয়েছে এবং আবার ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। এখান দিয়ে ইজিবাইকতো দুরের কথা কোন গাড়িই আসতে চায়না এত ভাঙ্গার কারনে। কোন অসুস্থ্য রোগী বা প্রসূতি মাকে হাসপাতালে নিতে গেলে ভোগান্তিতে পরতে হয় সে সাথে কোন রিকশা আসলে তা ঠেলে নিতে হয়। তাই আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করছি, আমাদের মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে যেন এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং সে সাথে আমরা দোহারের এমপি সালমান এফ রহমানের কাছে দাবি জানাই আমাদের এই রাস্তাটি করে দিতে।
স্থানীয় অটো চালাক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি খারাপের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। বাসায় থেকে অটোরিকশা বা রিকশায় পাঠাতে পারলে আমাদের চিন্তা কম হয়। কিন্তু এখন রাস্তার যে অবস্থা তাতে কোন রকম যানবাহন চলাচল করতে চায় না এই রাস্তাটি দিয়ে। আর তাছাড়া এই রাস্তায় প্রায় দূর্ঘটনা ঘটে থাকে আর মাঝে মাঝে এই দূর্ঘটনার কারনে হাসপাতালেও যেতে হয় চিৎসাকরানোর জন্য।
এই রাস্তায় দিয়ে একমাত্র ব্যাক্তিগত যানবাহন চলাচল করে তাও তারা চলে দায় ঠেকে। আমরা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের কাছে গেলে তিনি আমাদেরকে বলেন যে এই রাস্তাটি করে দিবে। কিন্তু পরর্বতীতে তিনি এই রাস্তাটি আর করে দেন নাই। এখন আমাদের দাবি এই রাস্তাটি যাতে মেরামত করে চলাচলের জন্য অনুপযোগী করে দেওয়া হয়।
এ বিষয় মুকসুদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, রাস্তাটি অর্ধক মেরামত করা হয়েছে। বাকিটুকু বাজেটে না থাকার কারনে আমরা করতে পারি নাই। তবে বাকি অংশটুকু এলজিডির কাছে বাজেট দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর বাকিটুকু মেরামত করা হবে।