বহু প্রতিক্ষীত গুলিস্থান- বান্দুরা রোডের বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিস প্রথম দিনেই বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১১/১০/২০১৯ রোজ শুক্রবার ৯:৩০ মিনিটে গুলিস্তান হতে বন্দুরার উদ্যেশ্যে ছেড়ে আসা বিআরটিসি বাস টি ১১:৩০ মিনিটে খারশুর নামক স্থানে আসলে তা আটকে দেয় এন.মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকেরা।

এসময় বিআরটিসি বাসের সাথে থাকা শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মারধর করে গাড়ী আটকে রাখে। এন মল্লিক পরিবহনের মালিক নার্গিস মল্লিকের ছেলে রবিন মল্লিক, ইসমাইল মল্লিক, কোমরগঞ্জের সেন্টু, দেলোয়ার, যাদু, যমুনা পরিবহনের মালিক চন্দন বাবু সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন বিআরটিসি কেরানীগঞ্জ ডিপোর কর্মকর্তা মন্টু মিয়া।

তিনি বলেন, গত শনিবার সকাল ৯:৩০ মিনিটে বিআরটিসির ঢাকা-বান্দুরা রোডে প্রথম বাসটি কেরানীগঞ্জ হয়ে সিরাজদিখানের খারশুর বেনুয়াখালী অতিক্রম করা মাত্রই এন.মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা আক্রমণ করে গাড়ীটি ভাঙচুর সহ আমাদের সুপার ভাইজার তাহের কে মেরে হাত ভেঙে দেয়। এছাড়াও বাসে থাকা যাত্রী, শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নানা ভাবে হেনস্থ করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে যমুনা পরিবহনের মালিক চন্দন মন্ডল। তিনি বলেন, আমি শুনেছি কে বা কারা বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসটি বন্ধ করে দিয়েছে। এর সাথে আমার কোন যোগসূত্র নেই। হামলার সময় আমি এলাকার বাহিরে ছিলাম। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন মামলা হয়নি।

অন্য খবর  ফায়ার সার্ভিস না থাকায় ঝুকির মুখে দোহারে-নবাবগঞ্জের ব্যবসায় ও জানমাল

তবে বিআরটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখঃ যে গুলিস্তান-বান্দুরা, রোহিতপুর (নতুন সোনাকান্দা বিসিক) ভায়া কদমতলী, গুলিস্তান হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মোট ৩০ গাড়ী চলাচল করার কথা রয়েছে। তবে এর আগেও একাধিক পরিবহন এই রোডে চলাচল শুরু করলেও টিকে থাকতে পারেনি অন্যান্য পরিবহন মালিকদের দৌরাত্ম্যে ও অসহযোগিতার জন্য।

আপনার মতামত দিন