কেরানীগঞ্জবাসীর নেই নিজস্ব বাস সার্ভিস, চলছে বাদুর ঝুলে যাতায়াত

375

সাধারণত বাদুর ঝুলে থাকে ডালে ডালে। কিন্তু কেরাণিগঞ্জে সাধারণ যাত্রীরা বাদুরের মতো ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করেন নিলয় পরিবহনসহ বিভিন্ন ধরনের গতি গাড়ীতে। ঢাকার সবচেয়ে সন্নিকটের উপজেলা এবং বিসিক শিল্পনগরী থাকা সত্ত্বেও, তাদের নেই নিজস্ব কোন বাস সার্ভিস। নেই বিআরটিসি বাসের যথাযথ সার্ভিস। কবে ঘুচবে তাদের এই কষ্ট। তারা পাবে তাদের নিজস্ব আধুনিক, মানসম্মত পরিবহন সেবা। অথচ কেরাণিগঞ্জবাসীর বাপ-দাদা কিংবা পূর্বপুরুষদের জমিতেই গুলিস্তান-নবাবাগঞ্জ-দোহার আঞ্চলিক মহাসড়কসহ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক। চোখের সামনে দিয়ে চলে সরকারি বাসসহ বিভিন্ন কোম্পানির হাজার হাজার যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাস।

এখন অন্যের আয়েশি যাতায়াত তাকিয়ে দেখা ছাড়া যেন তাদের আর কিছুই করার নেই। আর নিলয় পরিবহনের মতো এরকম যে কোন একটি গতি গাড়ীতে কোন মতে ঠেলাঠেলি – ধ্বাক্কাধাক্কী করে উঠা গেলেও, অধিকাংশ সময় বাদুড় ঝুলা করে অস্বাভাবিক ভাড়ায় কর্মস্থলে যেতে হয় তাদের।

আসলে বলছি কেরানীগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর, কলাতিয়া, হযরতপুর, শাক্তা, বাস্তাসহ পাশের সিরাজদিখান, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগের কথা।

এছাড়া রুহিতপুর থেকে গুলিস্তান ছেড়ে যাওয়া নিলয় পরিবহনের গাড়ীগুলোত আরও বিপদজনক! যে হেলপার সেই চালক! যেন দুয়ের ভিতর এক।

অন্য খবর  কেরানীগঞ্জে ওজনে তরমুজ বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

আসলে এসব গাড়ীগুলো মালবাহী গাড়ী না যাত্রীবাহী বুঝারও নেই কোন উপায়। আবার দূর থেকে মনে হয়, পাহাড়ি রাস্তায় চলছে কোন গাড়ী।

মহিলা, শিশু কিংবা রুগীদের কথা তো বাদই দিলাম, সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায় অতিরিক্ত চাপাচাপির কারনে। তার মধ্যে চলছে দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব। ৪/৫ জনের সিটে বসানো হয় ৬/৭ জন। ড্রাইভারের ডানপাশে একজন, বামপাশে দুইজন আর পিছনে বাদুড় ঝুলা আরও পাঁচ থেকে ছয়জন! এ যেন দমবন্ধ পুলিশি প্রিজনভ্যান।

এই রোডের দুর্ভোগ নিয়ে নিয়মিত গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। রামেরকান্দা বাজার থেকে নিয়মিত যাতায়াতকারী ভুক্তভোগী শফিউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৩০/৪০ কিলোমিটার দূর থেকে নবাবগঞ্জ দোহারের মানুষ সকালে বাসে করে ঢাকায় গিয়ে অফিস- আদালত করে। আর আমরা কেরানীগঞ্জবাসী লাইনে দাঁডিয়ে থাকতে থাকতেই সময় চলে যায়। আর নিলয় পরিবহনের করে পরিবার পরিজন নিয়ে যাওয়াত দূরের কথা নিজের কাপড়চোপড়ই নষ্ট হয়ে যায়। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। আমরা কেরাণিগঞ্জবাসী আমাদের জন্য উন্নত আধুনিক পরিবহন চাই।

অন্য খবর  কেরানীগঞ্জে বিএনপির মাস্ক বিতরণ

ভুক্তভোগী জনসাধারণের চাওয়া একটাই নবাবগঞ্জ- গুলিস্তান রোডের বাসগুলোতে ন্যায্য ভাড়ায় সীট অথবা রুহিতপুর- গুলিস্তান রোডে চলাচলকারী লক্কর ঝক্কর নিলয় পরিবহনের পরিবর্তে নতুন বাস বা মিনিবাস চালু করা।

আপনার মতামত দিন