ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়া পল্লীবাজার এলাকায় এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ মর্গে প্রেরণ করে বলে জানান দোহার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম। নিহত সম্রাট (১৩) দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মইতপাড়া পল্লীবাজার এলাকার শেখ আমির আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই সময় নিহতের দুই বোনের এলোমেলো কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এ সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ আলামত সংগ্রহ ও লাশের সুরতহাল তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করে।
বিগত কয়েক মাস আগে সম্রাটের মা রিনা বেগম (৪০) ওমানে কাজ করতে যান। পল্লীবাজারের মাঝে দোতালা বাড়িতে এক কিশোরের এই মৃত্যু এলাকাবাসীর মাঝে রহস্য তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেশী সারোয়ার আলম হানিফ জানান, সম্রাটকে অ্যাম্বুলেন্স নেওয়ার সময়ে আমরা জানতে চাইলে তার দুই বোন টুনি (২৩) ও মরিয়ম (২১) জানান, ‘শরীর খারাপ তাই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।’ অথচ পরে জানতে পারলাম সম্রাট মারা গেছেন গলায় ফাঁস দিয়ে। বোন টুনি ও তার জামাই সজীব রুইতা গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এর আগে র্যাব-১১ সদস্যদের হাতে সপরিবারে ইয়াবাসহ আটক হন তারা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান টিপু জানান, নিহত সম্রাট স্থানীয় একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার মৃত্যুতে আমরা সবাই হতবাক। কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানাই।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আলামত সংগ্রহ করে তার ওপর তদন্ত চলছে। পোস্ট মর্ডেম রিপোর্ট হাতে পৌঁছলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।