করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমরা কাজ করে যাচ্ছিঃ নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু

203
সারা দেশের মতো নবাবগঞ্জ উপজেলাতেও প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চিহ্নিত হয়েছে ২৫৪ জন। নবাবগঞ্জে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিউজ৩৯ এর সাথে খোলামেলা আলোচনা হয় নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলুর সাথে। তিনি বলেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার করোনা পরিস্থিতি ও জনপ্রতিনিধিদের দায় দায়িত্ব নিয়ে। ফোনে নিউজ৩৯ এর পক্ষে কথা বলেছেন নিউজ৩৯ এর চিফ নিউজ রিপোর্টার আছিফুর রহমান সজল।
করোনা পরিস্থিতি যখন ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারন করছে এবং একের পর এক রাজনীতিবিদ, শিল্পপতিরা বিদেশে পারি জমাচ্ছেন সেই মুহুর্তে একেবারে প্রথম থেকেই নবাবগঞ্জের মানুষের সাথে আছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু। প্রথম থেকেই নবাবগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করে গেছেন নিরন্তন।
করনা ভাইরাস যখন বাংলাদেশে প্রথম চিহ্নিত হলো তখন থেকেই নবাবগঞ্জেই আছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু। নবাবগঞ্জে ১ম করোনা রোগী চিহ্নিত হওয়া থেকে শুরু করে ২৫৪তম রোগী চিহ্নিত হওয়া পর্যন্ত তিনি নবাবগঞ্জেই অবস্থান করছেন। তার সাথে করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকেই আমরা নবাবগঞ্জকে করোনা মুক্ত রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে গেছি। যখন প্রথম লক ডাউনের সিদ্ধান্ত হয় তখন থেকেই আমরা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কথা অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু মানুষ তো পুরোপুরি সচেতন না। আমরা শত চেষ্টা করেও ঢাকা-গাজিপুর-নারায়নগঞ্জ থেকে মানুষের স্রোত ফেরাতে পারি নি। আমরা যতই চেষ্টা করেছি লক ডাউনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে কিন্তু সেটা করতে পারি নি মানুষের সচেতনার অভাবে। মানুষ রাতের অন্ধকারে, পালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরেছে যেটা মানুষ সচেতন না হলে রোধ করা সম্ভব হয় নি। তাছাড়া প্রবাসী যারা বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন তারাও প্রোপার কোন গাইডেন্স না মানার কারনে নবাবগঞ্জে আজ করোনায় ২৫৪ জন আক্রান্ত। তবে আমি কারো দোষ দিবো না।
করোনা পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে নাসিরউদ্দিন আহমেদ ঝিলু বলেন, দেখেন এখন আপনি যদি হিসাব করেন তাহলে নবাবগঞ্জে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। আমরা এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের বিধি বিধান অনুযায়ী আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। নবাবগঞ্জে প্রথমে ৪টা পর্যন্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা বলা হলেও এখন দেখেন আমরা করোনা রোধ করার জন্য সেটা ২টা পর্যন্ত করে দিছি। এখন দেখেন মানুষ কিন্তু এখন অনেক কম বাইরে বের হয়। এই সচেতনতা আরো আগে থেকে মানুষের মাঝে থাকলে এখন নবাবগঞ্জে সংক্রমনের হার অনেক কম থাকতো। তাছাড়া আপনি দেখতে পাবেন নবাবগঞ্জ অনেক আক্রান্ত হলেও এই অঞ্চলের মানুষের সুস্থতার হার কিন্তু অনেক বেশি। মানুষ নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া লক ডাউন ও করোনা আক্রান্ত পরিবারের মাঝে সরকারি ঔষুধও আমরা ফ্রি পৌছে দিচ্ছি। সব মিলিয়ে এখন পরিস্থিতি তুলনামুলকভাবে ভাল। তাছাড়া এখন আল্লাহর উপর ভরশা করা ছাড়া আসলে আমাদের আর কোন উপায় নাই। আমাদের এখন একটাই প্রার্থনা আল্লাহ যাতে অতি দ্রুত এই মহামারীর অবসান ঘটান।
নবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু বলেন, দেখেন মানুষ কিন্তু এখন আইন অনুযায়ী যতটুকু চলাচল করা সম্ভব সেটা করছে। আমরা করোনা সংক্রমন রোধে এখন ৪টার জায়গায় ২টা পর্যন্ত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছি। মানুষ কিন্তু সেটা মেনে চলছে। মানুষের মাঝে এখন সচেতনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া লক ডাউনের সময় আমরা কিন্তু সরকারি ত্রানের সুষ্ঠ বিতরন করেছি। কিছু কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে সেটা কিন্তু আমরা সাথেই সাথেই প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়মিত খোজ খবর কিন্তু প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা নিয়মিতভাবে নিচ্ছি। তাদের বাসায় আমরা সরকারি ঔষুধ পর্যন্ত আমরা পৌছে দিচ্ছি। করোনা আক্রন্ত পরিবার ও লকডাউনে থাকা কোন পরিবার যদি আমাদের কাছে খাদ্য সামগ্রীর জন্য ফোন করে সেটাও আমরা তাদের বাসায় পৌছে দিচ্ছি। আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কাছে সরকারি সেবা পৌছে দেয়ার জন্য।
আপনার মতামত দিন