এবার নাসির উদ্দিন ঝিলুর বিরুদ্ধে মার্কেটের তালা ভাঙ্গার অভিযোগ

556

নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের ডাকবাংলোর পুকুর ভরাট করে জেলা পরিষদের নবনির্মিত মার্কেটের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগালেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু।

এ ঘটনার কয়েকদিন পার হলেও খোদ জেলা পরিষদ তার কিছুই জানে না। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে জেলা পরিষদের কোনো অনুমতি না নিয়েই ঝিলুর নেতৃত্বে মার্কেটটির তালা ভেঙে নতুন তালা লাগানো হয় । এ সময় তারা ফিতা কেটে উদ্বোধনও করেন।

নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলুর এহেন কর্মকাণ্ডে দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও ক্ষোভ কাজ করছে। তাদের অভিযোগ, এক বছর পূর্বে সে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পেয়েই তার লোকজন দিয়ে নবাবগঞ্জের সব জায়গায় কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু অন্যদিকে নবাবগঞ্জ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেছেন একেবারেই উল্টো কথা। তিনি বলেন, কোনো নেতা তালা ভাঙেনি। ভুক্তভোগী দোকানিরা তালা ভেঙেছে। তাদের দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হচ্ছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সুবিদ আলী টিপুকে দিয়ে ফিতা কাটানো হয়। তবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে জেলা পরিষদের অনুমতি সাপেক্ষেই।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর ডাকবাংলো পুকুর ভরাট করে দ্বিতল মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে কাজ সমাপ্ত হয়। এতে ২০২টি দোকান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও বিনিয়োগকারীরা দোকান বুঝে পায়নি। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, মার্কেটটির কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ঠিকাদার কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়নি। এখনও টয়লেটের কাজ বাকি রয়েছে।

অন্য খবর  দোহারে নদী ভাঙন ও বন্যা কবলিতদের মাঝে ডিএনএসএম-এর ত্রাণ বিতরণ

 ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী মাহবুবুর রহমান ফারুকী বলেন, কে বা কারা কি কারণে তালাটি ভেঙেছে তা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এ মার্কেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির নেতারাও একাধিক দোকান বাগিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা ঝিলুর নেতৃত্বে ২০-২৫টি দোকান নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন ঝিলু বলেন, আমি কোনো তালা ভাঙিনি। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ ওই মার্কেটের দোকানিরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর অনুমতি রয়েছে এমন কথা বলে আমাকে নিয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ওখানে গেলে অনানুষ্ঠানিক ফিতা কাটা হয়।

আপনার মতামত দিন