আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য হলেন জয়নাল আবেদিন

345

ঢাকা জেলার অন্তর্গত দোহার উপজেলার কৃতি সন্তান ও সাবেক  ছাত্রনেতা জয়নাল আবেদীনকে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের  তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সভানেত্রী ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের উক্ত কমিটি অনুমোদন করেন।

রাজপথের সাহসী,নির্ভীক, পরীক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতা জয়নাল আবেদীনকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের  তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও  বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ডঃ জনাব সেলিম মাহমুদ  কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।

সাহসী,নির্ভীক, পরীক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতা জয়নাল আবেদীন ১৯৯০ সালে জয়পাড়া  কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে শুভ সূচনা করেন। পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত হন দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।  পরবর্তীতে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন, সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন পনিরুজ্জামান তরুন। এরপর ছাত্রত্ব এবং ছাত্ররাজনীতির পাঠ চুকিয়ে, ঢাকা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারন_সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জয়পাড়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক থাকাকালীন ১৯৯২ সনে, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাথে একাত্বতা পোষণ করে, ৭১ সালের ঘাতক রাজাকার আলবদর আল শামসদের বিচারের দাবীতে শ্লোগান দিতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী হন। ১৯৯৩ সালে BNP সরকারের দমননীতি চালানোর কালো আইন সন্ত্রাসদমন আইনে মামলার আসামী হন এবং কারাবরণ করেন। ২০০১ সালে সালমান রহমানের পক্ষে নৌকার নির্বাচন করার অপরাধে তিনি, পিতা ও ছোট ভাই সহ একাধিক মামলার আসামী হন। এছাড়াও জয়পাড়া কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে,নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী নাজমুল হুদার অ্ত্যাচারে দেশে টিকতে না পেরে ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল লন্ডনে চলে যান। দূর প্রবাসে গিয়েও  তিনি বুকের মাঝে মুজিব আদর্শকে লালন করেছেন এবং সক্রিয় রাজনীতি করেছেন,নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞার সাথে  স্কটল্যান্ড আওমীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স সহ মাষ্টার্স ডিগ্রী হোল্ডার ৯০ দশকের সফল এই মেধাবী ও ত্যাগী ছাত্রনেতার যথাযোগ্য মর্যাদায় পদায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দোহার উপজেলাবাসী।

আপনার মতামত দিন