নদীর পাড় সাধারণত খাড়া বা ঈষৎ ঢালু থাকে, শুষ্ক মৌসুমে কিছুটা সৈকতের মত দেখা যায়। কিন্তু ভরা বর্ষায় সমতল পাড় থাকেই না বললে চলে। তার উপর পদ্মার মত ভাঙনপ্রবণ নদীর সৈকত দুর্লভ জিনিস। গত কয়েক বছরের ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মৈনটে বেশ দীর্ঘ সৈকত সৃষ্টি হয়েছে, যদিও তা পানি বাড়ার বা কমার সাথে দৈর্ঘ্য বাড়ে কমে। অনলাইন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পাওয়াতে চলতি বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক এসেছেন মৈনটে যার বড় অংশটি স্থানীয় এবং ঢাকা শহর থেকে। ঢাকার কাছে হওয়াতে খুব সহজেই দিনে এসে দিনে ঘুরে যাওয়া যায়। দেখে নিই এসময়ের পর্যটন আকর্ষণ মৈনট এর কিছু ছবি।

# হাটুজলে ফুটবল

_mg_2209a
হাটুজলে ফুটবল

# আকাশ আর নদী মিশেছে যেখানে

_mg_2144a

# ঠিক উপরের যায়গাটি যখন পানি একটু বেশি

moinot-2016-01

# বিলুপ্তপ্রায় গয়না নৌকা

_mg_2599a

# নানা ধরণের পাল তোলা নৌকার দেখা মিলবে

_mg_2234a

# মাছ ধরা নৌকা

_mg_2549a

# নদীর বিপরীত দিকে সবুজের ছড়াছড়ি

_mg_2541a

# পর্যটন আকর্ষণ মৈনট -এর আসল সৌন্দর্য্য খোলে সুর্যাস্তের সময়, কিন্তু দূরের পর্যটককে এর আগেই ফিরতে হয়

_mg_2662a

# পর্যটকের ভীরে এমন শান্ত দৃশ্য সবসময় নাও পাওয়া যেতে পারে

dsc_0248

# ভাগ্যে থাকলে পেয়ে যেতে পারেন এমন সূর্যাস্ত

_mg_2720aকিন্তু এই সৌন্দর্যের মাঝেও লুকিয়ে আছে মৃত্যূ! চলতি বছর ২০১৬ সালে এখানে দুই দফায় ডুবে মারা গেছে চারজন। পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম ভয়ংকর নদী, আর যারা সাতার জানেন না তাদের জন্য পুকুরও ঝুকিপূর্ণ। এর সৈকতে ১০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত সমতল, পানি বাড়া কমার সাথে এর ব্যপ্তি বাড়ে কমে, এই যায়গায় হাটুজল থাকে, যারা সাতার জানেন না তাদের কখনো হাটুজলের বেশি যাওয়া ঠিক না। এর পরেই রয়েছে খাড়া ঢাল। সাতার না জানা পর্যটকরা ওই ঢালে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন। তাই সবাধানতা জরুরী এবং পানিতে নামলে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে নামা উচিৎ।

পর্যটকেদর কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, এখানে বৃষ্টিতে আশ্রয় নেবার ভাল ব্যবস্থা নেই, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই, তাই প্রস্ততি নিয়ে আসতে হবে।

একজন মাঝির কাছে থেকে জানা গেল এখানে নৌকা চালাতে হলে শতকরা ৩০ টাকা খাজনা দিতে হয়, যেখানে পর্যটকদের জন্য তেমন কোনো সুবিধা নেই সেখানে এই হার মাত্রাতিরিক্ত। সরকার একটি লাইট পোস্ট দিয়ে দায়িত্ব সেরেছে।

আরও ছবিঘর:
পদ্মা নদীর ভাঙন

শুষ্ক মৌসুমে মৈনট

আপনার মতামত দিন