পরকীয়ার বলীঃ ১৬ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

1205

নবাবগঞ্জের হরিস্কুল গ্রামে বিয়ের ৫মাস না পেরুতেই স্বামীর পরকিয়ার বলি হলো দীপা মন্ডল (১৯) নামে এ গৃহবধূ। ঘটনার ১৬দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগই নেয়নি থানা পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার দাবী দীপা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও ভাষুর পলাতক রয়েছে। স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগে জানা যায়, গত ৫মাস আগে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের হরিস্কুল গ্রামের সুরেন্দ্র মন্ডলের ছেলে বিকাশ মন্ডলের সাথে নয়নশ্রী ইউনিয়নের সাপলেজা গ্রামের অবিনাশ বিশ্বাসের মেয়ে দীপা বিশ্বাসের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩বছর আগে থেকে বিকাশের সাথে চরখলশি গ্রামের একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও বিকাশ সম্পর্কটি অঁটুট রাখে। দীপা পরকিয়ার বিষয়টি জানার পর থেকে প্রায়ই দু’জনের মধ্যে মন মালিন্য হতো। ৭মে সন্ধ্যায় হরিস্কুল হরিসভা মন্ডপের সামনে দীপার নিথর দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। এসময় লাশের সাথে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন ছিল। তাদের দাবী দীপা গলায় কাপড় দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে তারা অবস্থা বেগতি দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দীপার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ৮মে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে করা হয়। এদিকে, ঘটনার ১৬দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগই নেয়নি থানা পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দীপার স্বামী ও ভাষুর পলাতক রয়েছে। দীপার বড় ভাই জুয়েল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ওঁরা পরিকল্পিতবাবে দীপাকে হত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনার দিন দীপার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীকে আটক করলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে পুলিশের এক দারোগা আমাদের সাথে অসদাচরণ করে তাঁড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েকদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার চেষ্টার করা হলেও পুলিশ আমাদের পাত্তাই দিচ্ছে না। দীপার শ্বশুড় সুরেন্দ্র মন্ডল জানান, ৭মে ইউপি নির্বাচন ছিল। ঐ দিন তিনি ও তার ছেলের সাথে বৌ বাড়িতে ছিলেন। ছেলের সাথে কি হয়েছে সেটা তিনি জানেন না। তিনি ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে একাই মাটিতে নামিয়েছেন। তবে প্রতিবেশী কাউকে ডাকেননি কেন এ প্রশ্ন উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (তদন্তকারী কর্মকর্তা) মো. বাছির উদ্দিন বলেন, এটি একটি পরিস্কার আত্মহত্যার ঘটনা। তাই তিনি অভিযোগ নেননি। নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে থানায় ইউডি মামলা রজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

আপনার মতামত দিন