নবাবগঞ্জের কাশিয়াখালী বেড়ী বাঁধে গর্ত

313

 

নবাবগঞ্জের কাশিয়াখালী বেড়ী বাঁধ এখন হুমকির মুখে। এবার পদ্মার পানির চাপ বৃদ্ধি পেলে বাঁধটি ভেঙে নবাবগঞ্জ-দোহার ও মানিকগঞ্জের কিছু অংশ বন্যার পানিতে প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। দোহার নবাবগঞ্জ ও হরিরামপুর উপজেলার পদ্মানদীর তীরবর্তী কাশিয়াখালী বেড়ী বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধটি। প্রবল বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধের বিভিন্ন অংশ। তবে শুষ্ক মৌসুমে এর সংস্কার না করায় এখন হুমকির মুখে বাঁধটি। সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে বেড়ী বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট পরিদর্শন করেন নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ। এই সময় তার সাথে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিনও ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়ী বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস দেন স্থানীয়দের।

 

এলাকাবাসী জানায়, ১৪.১৪ কি.মি বেড়ী বাঁধের মধ্যে  জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তিতপালদিয়া স্লুইস  গেটে পানির চাপ বেশি হওয়ায় কিছু দিন আগে স্লুইস গেটের দুইপাশে ফাটল দেখা দেয়। সাথে সাথে প্রশাসন ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ভাঙন ঠেকানো গেছে। এদিকে ৫/৬ মাস আগে শুষ্ক মৌসুমে হাটিপাড়ার রত্নাদিয়া একটি স্লুইস গেটের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১০ ভাগ কাজ হয়েছে। অথচ বেড়ী বাঁধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই স্লুইস গেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরও বেড়ী বাঁধটির অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। তখন প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় বাঁধটি রক্ষা পায়। পরবর্তীতে বাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় এবার হুমকির মুখে রয়েছে বাঁধটি।

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জে তাপমাত্রা উঠল ৩৭ ডিগ্রিতে

স্থানীয় আ: সালাম বলেন, বাঁধ নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধে ধস দেখা দিতে পারে।

 

উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমোর রহমান খান পিয়ারা জানান, গতবারের চেয়ে বেড়ী বাঁধের অবস্থা এবার আরো খারাপ। এখন যে অবস্থা রয়েছে এবার পানি চাপ বাড়লে ৭৫ ভাগ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জয়কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, এবার বেড়ী বাঁধের অবস্থা নাজুক। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বাঁধটির করুণ দশা।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, বর্ষার পূর্বেই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে সড়ক ও জনপথ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। এরপরও যদি কাজের গাফিলতি হয় তবে তার জন্য তারাই দায়ী থাকবেন।

কেরানীগঞ্জ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ আলম বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়। তারপরও বাঁধের কিছু কিছু ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মঈনউদ্দিন ঝুঁকির কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের লোকজন দিনরাত বাঁধে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে অর্থ সংকটের কারণে আমরা সেভাবে কিছু করতে পারছি না।

আপনার মতামত দিন