দোহারে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগঃ মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী

701

জুবায়ের হাসান,নিউজ৩৯ঃ ঢাকার দোহারে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূ নাম সাদিয়া আক্তার (১৯)। শুক্রবার বিকালে ওই গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী মোস্তফা ও শাশুড়ি বেবী বেগম। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক ডা. ওমর ফারুক।

সাদিয়া উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মাঝিরচর পূর্বচর গ্রামের মো. জসীম খালাসির মেয়ে।

মেয়ের পিতার অভিযোগ, ৪ বছর আগে মোবাইল ফোনে তার মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। এরপর জামাই ছুটিতে এই রমজানে দেশে এসে মোটরসাইকেল কেনার জন্য আমার কাছে টাকা চায়, আমি পরশু সে টাকা দেই। তাদের আরো অনেক আবদার ছিলো। এরমধ্য জামাই শ্বশুড় বাড়ি ঘুরতে এসে শুক্রবার দুপুরের খাবার পর নিজ বাড়ীতে যায়, এর কিছুক্ষণ পরেই আমি হত্যার খবর পায়। এটা পরিকল্পিত হত্যা।

স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে জয়পাড়া সাহেব বাজার এলাকার বেল্লাল শেখের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মো. মোস্তফার সঙ্গে সাদিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় মেয়ে বেশিরভাগ সময় তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। গত রমজান মাসে তার স্বামী মোস্তফা ছুটিতে দেশে আসেন।

অন্য খবর  পানিতে ডুবে হারালো আরো দুটি প্রাণঃ ঘটনাস্থল শোল্লা

নিহত সাদিয়া আক্তারের মা আকলিমা বেগম জানান, শুক্রবার বিকালে সাদিয়া তার স্বামীকে নিয়ে মায়ের বাড়ি থেকে উত্তর জয়পাড়ার সাহেব বাজার এলাকার শ্বশুর বাড়িতে যান। এরপরই খবর আসে সাদিয়া আক্তার গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যাই। এ সময় কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সাদিয়ার স্বামী ও শাশুড়ি। পরে দোহার থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সাদিয়ার মা বলেন, আমার মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মেয়ের স্বামী মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালাচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে মোস্তফার বাড়ী তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

দোহার থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

আপনার মতামত দিন