দোহারে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার

494
ছাত্রী ধর্ষন

ঢাকার দোহার উপজেলার মধুরচর এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফরহাদ মোল্লা (৪০) নামের এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ফরহাদের বিরুদ্ধে কিশোরীর বাবা আ. জব্বার বাদি হয়ে দোহার থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। রোববার বিকালে ধর্ষণ মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

আটককৃত মাওলানা ফরহাদ মোল্লা উপজেলার চরকুশাই গ্রামের আব্দুর রহমান ওরফে বানু মোল্লার ছেলে এবং দোহার বাজার সংলগ্ন শহর মোল্লা বাড়ির ভাড়াটিয়া।

পরিবার, এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে মধুরচর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে যোগদান করে ফরহাদ মোল্লা। এরপর ফরহাদ মোল্লা সাথে কিশোরীর বাবা আ. জব্বারের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। আ. জব্বার তার কিশোরী মেয়েকে মাও. ফরহাদের কাছে আরবি পড়তে দেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই ফরহাদ কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানি করতে থাকেন এবং কৌশলে তা ভিডিও করেন এবং কিছু ছবি তুলেন। গত তিন বছর বছর যাবত সেই সব ভিডিও এবং ছবি দেখিয়ে নিয়মিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ফরহাদ মোল্লা। তবে এক বছর আগে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে মসজিদ কমিটি সালিশের ব্যবস্থা করেন।

অন্য খবর  দোহারের ৪০ টি পূজা মণ্ডপে শামীমা ইসলাম বিথীর সিসি ক্যামেরা উপহার

ফরহাদ সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে চাকুরী অব্যাহতি দেন মসজিদ কমিটি। তবে ফরহাদ ভোক্তাভোগী পরিবারটি নানা মাধ্যমে হুমকি দিতে থাকেন এবং কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকেন। বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার ও শনিবার দুইবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিশোরী মেয়েটি। পরে মেয়েটির বাবা মো. জব্বার বাদী হয়ে ফরহাদের বিরুদ্ধে দোহার থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নুর মোহাম্মদ খান জানান, ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আসামীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমকে মেডিকেল চেক আপের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রমান পেলে আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত দিন