মাদক ব্যবসায়ী ধরতে নবাবগঞ্জে পুলিশ অভিযান: কথা কাটাকাটির জের ধরে সংর্ঘষ 

522

মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গিয়ে গ্রামের এক যুবককে গ্রেফতার করা নিয়ে বাদানুবাদ ও বিক্ষোভের জের ধরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আলহাদিপুর গ্রামে পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে দিনমজুর রিপন তালুকদারসহ অন্তত ৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল আলহাদিপুর গ্রামে ঢুকে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ গ্রামের যাকে পায় তাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে শুরু করে। এঘটনায় ৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে পিটুনির হাত থেকে বাঁচতে অন্যরা গা ঢাকা দেয়। শনিবার রাত ৮টায় নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে আহত রিপন ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের পরিবার সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাতে তাদের গ্রামে ঢুকে থানার এসআই কায়সার আহমেদ মাদকাসক্ত অভিযোগ এনে রাজমিস্ত্রীর হেলপার আকাশ (১৪) নামে এক কিশোরসহ ৫ জনকে আটক করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ৪ জনকে ছেড়ে দেয় কিন্তু আকাশকে জোরজবরদস্তি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর উত্তেজিত এলাকাবাসী সাদাপুর সেতুর সামনে ঢাকা-বান্দুরা সড়কে অবস্থান নেয় এবং পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী আরো ক্ষুব্ধ হয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের মোটর সাইকেল ও এন মল্লিক পরিবহনের ২টি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে আকাশকে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুক্রবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ পুনরায় শনিবার এলাকায় এসে স্থানীয়দের ‘গণপিটুনি’ শুরু করে। তারা আরো অভিযোগ করে, পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের না ধরে প্রতিরাতে এলাকার নিরীহ ও খেটে খাওয়া মানুষদের আটক করে নিয়ে যায়। এরপর ২০/৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। পুলিশ এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ জাতীয় কাজ করে আসছে। এদিকে শুক্রবার রাতের ঘটনায় থানা পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, এটি ভুল বুঝাবুঝির কারণে হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত দিন