ইলিশ রক্ষার্থে দোহারে প্রশাসনের অবিরাম সাঁড়াশি অভিযান

607

মা ইলিশ রক্ষার্থে দোহারে অবিরাম সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে দোহার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও আফরোজা আক্তার রিবা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন। এতে মা ইলিশ শিকার অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমন্য মা ইলিশ শিকার করায় ১১ জেলে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার সকালে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালমা খাতুন, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্মকর্তারা পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় মা ইলিশ শিকারের অপরাধে ১১ জেলেকে আটক ও ১৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেন।

এসময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা আক্তার রিবা ও সালমা খাতুনের ভ্রাম্যমান আদালতে আল মিরাজ ও আব্দুল সালাম তালুকদারকে ২০ দিনের কারাদন্ড ও ৬ জনকে ১০ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মিরাজ হোসেন মধুর চর গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে, একই গ্রামের মানিক তালুকদারের ছেলে আব্দুল সালাম। আটককৃত অন্যন্যরা হলেন, নারিশা গ্রামের তোফাজ্জল শেখ পিতা খালেক শেখ, জাহিদুল ইসলাম পিতা মুসলেম মাদবর, ঝনকি গ্রামের আব্দুল মান্নান পিতা হুকুম আলী বেপারী, মেঘুলা গ্রামের জাহাঙ্গীর পিতা ময়জল বেপারী, হারুন পিতা আব্দুল খালেক, বিল্লাল হোসেন, পিতা অজ্ঞাত। বাকী ৩জনকে মাছ শিকার করবে না শর্তে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে জালগুলো উপজেলার মেঘুলা বাজারে পদ্মা তীরে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরন করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন