আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: সালমান এফ রহমান

68
দেশে আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

দেশে আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন, সংবিধান অনুসরণ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি)-তে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান  বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে। সুন্দর একটা নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষদের আমরা এলাও করছি। আগামী নির্বাচনটা সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক আসুক। নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীন। কয়েকদিন আগের একটি উপ-নির্বাচন দেখেছেন। যেখানে নির্বাচন ঠিক হচ্ছে না, সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কমিশন।

 ‘রাজনৈতিক স্পেস নাই’ এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সামনে আগামী নির্বাচন। দুইটি জিনিস বলা হচ্ছে। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক স্পেস। কথা না বলে যদি মুখোমুখী অবস্থানে থাকে তাহলে রাজনীতি এগুবে কীভাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কথা হলো যে সংবিধান অনুয়ায়ী যা যা করার আমরা করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি।

অন্য খবর  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৩ ফেব্রুয়ারি

মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন বললেন নির্বাচন কমিশনে আসেন কথা বলবো। তখন একটি বিরোধী দল উনারা আসলেন না। এখন উনারা কী বলছেন, তাদের দাবিটা কী। প্রথমত, উনাদের দাবি এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো না। দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে-এই নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচনে যাবো না এবং তৃতীয়-আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার পরিবর্তন করবো। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে তার অধীনে নিবার্চনে যাবে।

দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়। সারা বিশ্বে দাম বেড়েছে। টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে রমজানে বিভিন্ন আইটেমের পণ্য দেয়া হচ্ছে। যাতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। তিনি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করে বলেন, যাতে নিত্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। দাম মাঝে মাঝে বেড়ে যায়। সরকার ব্যবস্থা নেয়ার পরে আবার কমেও আসে।

‘সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি স্বাধীনতার বড় অর্জন’ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ ও বিপক্ষে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ।

 অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে। এর মধ্যে আছে-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা,  আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা,  বিদেশে দক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণের জন্য মাইগ্রেশন ডিপ্লোমেসী জোরদার করা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের বিতাকির্কদের হাতে ট্রফি ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

অন্য খবর  আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্তিনেজ এখন ঢাকায়

আপনার মতামত দিন