দোহার-নবাবগঞ্জে বড়দিন উদযাপিত

844

 

ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের সিরজাদিখানের আঠার গ্রামে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উদ্যাপিত হয়েছে।

জানা গেছে, বড়দিন উপলক্ষে গত শনিবার বিকাল থেকে দোহারের ইকরাশী উপ-ধর্মপল্লী, নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গির্জা, গোল্লা গির্জা, তুইতাল গির্জা, সোনাবাজু উপ-ধর্মপল্লী, বক্সনগর উপ-ধর্মপল্লী, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের শুলপুর গির্জায় প্রার্থনা করতে আসা পুণ্যার্থীদের আগমনে সরগরম হয়ে ওঠে। রবিবার সকালে প্রার্থনা পর্ব সম্পন্ন হয়। বড়দিনের উত্সব চলবে সোমবার পর্যন্ত। কীর্তনের (ক্যারল) মধ্য দিয়ে শেষ হবে বড় দিনের উত্সব। এর আগে নবরাজ খ্রিষ্টকে গ্রহণ করতে গির্জা ও উপধর্মপল্লীগুলোকে বড় দিনের ৯ দিন আগে থেকে নভেনা খ্রিষ্টযাগ বা পাপস্বীকার পর্ব চলে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায় বেথেলহেমের সেই আবহ সৃষ্টি করতে উপজেলার হাসনাবাদ, গোল্লা ও তুইতাল গির্জার পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করেছে প্রতীকী গোশালা। নবাবগঞ্জের সব গির্জা ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িগুলো বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জায় সেজেছে। গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো চলছে নবাবগঞ্জের পুরনো বান্দুরা, হাসনাবাদ, নয়নশ্রী, তুইতাল, গোল্লা, শিকারিপাড়ার খ্রিস্টপল্লীতে। টুকটুকে লাল পোশাক পরা সফেদ দাড়ি-গোঁফের বুড়ো সান্তাক্লজ উপহারের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোট্ট সোনামণিদের হাতে তুলে দেবেন মজার মজার উপহার।

অন্য খবর  জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবোরেটিভ অধ্যাপক হলেন দোহারের কবিরুল বাশার

গোল্লা গির্জায় প্রার্থনা করতে আসা গ্যামল গমেজ জানান, এ বছর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বড়দিন উত্সব পালন করছি।

আপনার মতামত দিন