দোহার-নবাবগঞ্জে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে

392

পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গনে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় গত দেড় মাসে ৪ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাটবাজার, ফসলি জমি ও বহু গাছপালা। ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেড়িবাঁধ ও বিভিন্ন রাস্তার উপর আশ্রয় নিয়েছে। পদ্মা নদীর পানি কমলেও ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। পানি কমায় অনেকে বাড়ি ফিরে নতুন করে ঘর বাঁধার কাজ করছে।

এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাস জমি দ্রুত বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ভাঙ্গনে দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রাণকুণ্ডু কামারপাড়া, পানপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি, প্রাণকুণ্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারিশা ইউনিয়নের মধুরচর, রানীপুর, মনপড়া চর এবং বিলাশপুর ইউনিয়নে চর বিলাশপুর গ্রামসহ কয়েকটি এলাকার বসতবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলার চারাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙ্গনে তিনটি হাটবাজারের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য দুইটি লংগরখানা দেড় মাস চালু থাকার পর গত ঈদের দুইদিন পূর্বে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সহায়সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের বকসনগর ইউনিয়ন পরিষদ বাজেট ঘোষণা

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

আপনার মতামত দিন