দোহার-নবাবগঞ্জে জমে উঠেছে প্রচারণা

754

আগামী ২৮শে ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে সদস্য পদের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন বিপুলসংখ্যক প্রার্থী। তবে তাদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের একে অপরের প্রতিপক্ষ। যে কারণে মাঠের উত্তাপ ততটা না থাকলেও জেতার জন্য মরিয়া হয়ে কাজ করছে প্রার্থীরা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বাড়িতে অফিসে গিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছে।

জেলার দোহার ১৫নং নবাবগঞ্জে ১৪টি ইউনিয়নকে দুই ভাগে ১৩ ও ১৪নং ওয়ার্ড করা হয়েছে। এতে সদস্য পদে ২২ জন প্রার্থী হয়েছেন ও সংরক্ষিত মহিলা পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে দোহারের ১৫নং ওয়ার্ডে ৮ জন, নবাবগঞ্জের ১৩ নং ওয়ার্ডে ৮ জন ও ১৪নং ওয়ার্ডে ৬ রয়েছে। এই তিন ওয়ার্ডে মহিলা প্রার্থী হয়েছেন আনার কলি পুতুল (হরিণ), মাহমুদা আক্তার (দোয়াত কলম), রেশমা আক্তার (মাইক), জয়নব খান জলি (ফুটবল), শামীমা আক্তার বীথি (পাখা)। দোহার নবাবগঞ্জে ২০৫ জন ভোটার রয়েছে। প্রতিদিনই এসব ভোটারের দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা।

অন্য খবর  দোহার পৌরসভার নতুন নির্মান পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

নবাবগঞ্জের ১৩নং ওর্য়াডে প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাসেত, ভাস্কর চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজা, বক্সনগর ইউরিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  শাহীন খান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  রাকিব পত্তনদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা দেওয়ান আওলাদ হোসেন ও শামীম মাহমুদ।

১৪নং ওয়ার্ড নবাবগঞ্জের সদরসহ পশ্চিমাঞ্চলে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পলাশ চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান রনি, নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সরকার, আকমল হোসেন,  আলহাজ আরিফুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির আহমেদ উদ্দিন পান্নু।

১৫নং ওয়ার্ড দোহারে প্রার্থী হয়েছেন মো. সালাহউদ্দিন, মো. তরুণ, শামীম বেপারি, হুমায়ন কবির, মো. বাসার, মো. শাজাহান, রিপন হোসেন ও হাবিবুর রহমান।

প্রার্থীরা জানান, সাধারণ তৃণমূলের ভোটারের নির্বাচন থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের ভোট আদায় অনেকটাই কষ্টকর। তবুও তারা ভোটারদের মন আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

আপনার মতামত দিন