এ লজ্জা আমাদের ; মুখ ঢাকবো কিসে? শূণ্য থালায় শিক্ষক যখন দোহার উপজেলায়

1654

৭ই মার্চ বংগবন্ধু শোষণের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। আর এই ২০২১ সালে এসে, সেদিনই দোহার উপজেলাবাসী দেখলো শূণ্য থালা নিয়ে এক শিক্ষকের নিরব প্রতিবাদ। আজ আমরা লজ্জ্বিত। কিসে ঢাকবো এই লজ্জ্বা?
দোহার উপজেলা প্রশাসনের সাবরেজিস্টার অফিসের সামনে হঠাৎ চোখে পড়ে এক শ্বেত-শুভ্র দাড়ির একজন স্কুল শিক্ষক শত যন্ত্রণায়, অপমানে মাথা নিচু করে এক শূণ্য থালা সামনে নিয়ে করছেন নিরব প্রতিবাদ। মুখে তার কোন ভাষা নেই, নেই কোন কথা। শুধু জানা গেলো, জয়পাড়া সরকারি মডেলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক হটাৎ করেই কোন নোটিশ না দিয়ে স্কুল শিক্ষক শামসুদ্দিনের বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন। উক্ত শিক্ষকের বেতন বন্ধ, তাই বাড়িতে খাবার ও সংসার বন্ধ।

এসময় সহকারি শিক্ষক শামসুদ্দিন বলেন- আমি যদি কোন অন্যায় করে থাকি, তাহলে প্রধান শিক্ষক প্রথমে আমাকে সে বিষয় সতর্ক করবেন । তা না করে এমনকি আমাকে কোন নোটিশ না দিয়ে, আত্বপক্ষ সমার্থন করার সুযোগ না দিয়ে, হঠাৎ আমার বেতন বন্ধ করে দেয়। এমনিতেই করোনা মহামারির দোহাই দিয়ে গত জুলাই থেকে বেতন ভাতা অর্ধেক করে দিয়ে আসছে । এখন বাকি অর্ধেক বেতন দেয়া যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমি ৫০ উর্ধ্বে এ বয়সে কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বাচবো। তাই, আমি প্রধান শিক্ষকের এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা ও তার অনিয়মের প্রতিবাদে অনশন করতে আসি । আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে এর সুরাহা দাবী করছি।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে শুরু জেএসসি ও জেডিসি

পরবর্তীতে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফিরোজ মাহমুদ নাঈম এর হস্তক্ষেপে ও আশ্বাসে এবং মানবিক বিবেচনায় আশ্বস্ত হয়ে, শিক্ষক শামসুদ্দিন অনশণ প্রত্যাহার করেন। একইসাথে নির্বাহী কর্মকর্তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান ও স্কুলের অনিয়মের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন।

আপনার মতামত দিন