গুলশানের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে নাজমুল হুদার মনোনয়ন ফরম ক্রয়

658

তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নির্বাচনি অফিস থেকে এই ফরম কিনেছেন তিনি।

ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম কেনার বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়েই আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। এজন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি।’

বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তার ব্যাক্তিগত সহকারী আক্কাস খানের মাধ্যমে এই ফরম সংগ্রহ করেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী। ঢাকা-১৭ আসন (ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, ভাষানটেক) নির্বাচন করতে চান তিনি।

নাজমুল হুদা এই আসনটিতে নির্বাচন করতে চান, এই গুঞ্জন আগেই ছিল। এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গত ঈদে পোস্টারও সাঁটা হয়েছিল গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায়।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নাজমুল হুদার সামনে একটি বড় বাধা রয়েছে। দুর্নীতির একটি মামলায় তার চার বছরের কারাদ- হয়েছে। গত বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের কপি এখনো বিচারিক আদালতে পৌঁছেনি। তাই নাজমুল হুদারও আত্মসমর্পণ করার প্রয়োজন হচ্ছে না। তিনি রাজনীতিতেই সরব থাকতে পারছেন।

অন্য খবর  মুকসেদপুরে আগুনে ভস্মিভূত মুদি দোকান

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের কপিটি বিচারিক আদালতে পৌঁছলে সাবেক বিএনপি নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর দণ্ড স্থগিত না হলে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না।

২০১০ সাল থেকে বিএনপির সঙ্গে নাজমুল হুদার টানাপড়েন শুরু হয়। দল তাকে বহিষ্কার করে। সেই বহিষ্কার আদেশের পরও তিনি বিএনপির পরিচয়েই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেন। পরে ২০১২ সালের জুনে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

এর দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন একটি দল গঠন করেন। কিন্তু এটাও বেশিদিন টিকেনি। কয়েক মাসের মধ্যেই ফ্রন্টের আরেক নেতা আবুল কালাম আজাদ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।

আপনার মতামত দিন