জয়পাড়া কলেজের ফলাফল বিপর্যয়, দায় কতটুকু ছাত্র রাজনীতির

528

নিউজ৩৯.নেট ♦ দোহারের অন্যতম পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এই অঞ্চলের সানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে সেই ১৯৭৪ সাল থেকে। মধু চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সময়ের সাথে সাথে উপহার দিয়েছে দেশ বিখ্যাত বরেণ্য মানুষদের। শিক্ষার মান নিয়েও তেমন কোন প্রশ্ন ছিল না।

জয়পাড়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দোহারের সুস্থ্য রাজনীতির অন্যতম পীঠস্থান। রাজনীতির পাশাপাশি পড়াশোনার মেল বন্ধন সৃষ্টি হয়েছিল এই কলেজে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পড়াশোনার সাথে ছাত্রদের সম্পর্ককে সম্পর্ককে রাজনীতি কী দূরেই ঠেলে দিচ্ছে!

ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয়ের এই বছর রাজনীতির সাথে পড়াশোনার সম্পর্কটাও বেশ জোরেশোরে আলোচনায় নিয়ে এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্র ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ছাত্র রাজনীতিকে মূল কারন হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রনেতাদের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ে কলেজে আসা মাত্রই নতুন ছাত্র ছাত্রীরা কলেজের নিয়মগুলো ভাংতে শুরু করে। শিক্ষকরা এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না। ফলে কলেজে পা দেয়া মাত্রই একটি ছাত্র কলেজের নিয়মের বাইরে চলে যায়, যার ফলাফল এইবারের এইচ এস সি রেজাল্টে অনুদিত হয়েছে।“

অন্য খবর  দোহার থানায় ভুয়া ওয়ারেন্ট: শাস্তি পেলেন আদাবর থানার এসআই

কিন্তু এই ব্যাপারে সম্পূর্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাজিব শরীফ। তিনি কলেজের এই ফলাফলের জন্য কলেজের ম্যানেজম্যান্টের দূর্বলতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি ছাত্র ভর্তি হবার পর তার পড়াশোনার কোন তদারকিই করে না। তার খোঁজ খবর রাখার কোন প্রয়োজনীয়তাই বোধ না কলেজ কতৃপক্ষ। ফলে এই বারের ফলাফল বিপর্যয়। ছাত্রলীগ কোন ছাত্রছাত্রীকে দিয়ে জোর করে কোন মিটিং মিছিল করে না আর তাছাড়া কলেজে তেমন রাজনৈতিক প্রোগ্রামও হয় না। তাই এই খারাপ রেজাল্টের দায় কোন ভাবেই ছাত্রলীগ নেবে না।“

জয়পাড়া কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এই ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্রের পিছনে ছোটাকেই দায়ী করেন।

এছাড়া জয়পাড়া কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাল্ট খারাপ হওয়ার পিছনে এবারের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করাকে কারণ মনে করেন

জয়পাড়া কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, “কলেজ সময়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মিছিল হয়, ফলে স্যাররাও মতো ক্লাস নিতে পারেন না। নিয়মিত ক্লাসের চেয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের উঠতি নেতাদের পিছনে থাকতেই শিক্ষার্থীরা বেশি পছন্দ করে। ফলে এই ফরাফল বিপর্যয়। এই ধারা চলতে থাকলে ভবিষ্যতেও রেজাল্ট ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আপনার মতামত দিন