দোহারে থেমে থেমে বৃষ্টিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

53

কয়েক দিনের টানা গরমের পর কোরবানির ঈদ থেকে দোহার-ঢাকা সহ দেশজুড়ে চলছে হালকা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। ফলে অনেক জায়গাতেই স্বচ্ছ পানি জমতে শুরু করেছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৫ জন মারা গেছেন এবং তিন হাজার ৭০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলমান বৃষ্টির কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

এডিস মশা যেহেতু পরিষ্কার পানিতে বেশি জন্মায় তাই বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে নতুন করে জমা স্বচ্ছ পানিতে এডিসের উপদ্রব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ চন্দ্রিমা ইমতিয়া। কেননা বৃষ্টির পানি জমা স্থানগুলো এডিস মশার লার্ভার বিস্তার ও প্রজননের সবচেয়ে অনুকূল স্থান। যেখানে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা খুব বেশি মাত্রায় জন্মায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের জুনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৫৬ থাকলেও জুলাইয়ে তা বেড়ে ৪৩ হাজার ৮৫৪ জনে পৌঁছায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘বর্ষার বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও এখন বাড়তে শুরু করবে। এই মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করতে পারে।’

অন্য খবর  নওগাঁ -৬ উপনির্বাচনের মাঠে সরব উপস্থিতি স্বেচ্ছাসেবক লীগে

এডিস মশা প্রতিরোধে দেশব্যাপী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্বের ওপর জোর দেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মোশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘শুধু পানির পাত্র পরিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়। বৃষ্টির পানি জমা ঠেকাতে আবর্জনাও পুঁতে ফেলতে হবে। অন্যথায় তা মশার প্রজননস্থলে পরিণত হতে পারে।’

প্রতিকূল আবহাওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগ কম কার্যকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার দিকেই এখন নজর দেওয়া উচিত।’

আপনার মতামত দিন