দোহার-নবাবগঞ্জে পালিত হলো বিশ্ব জলাতংক দিবস। মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’ শ্লোগানে দোহার-নবাবগঞ্জে পালিত হলো বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস । বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আয়োজিত একটি র্যার্লী ও আলোচনা সভা করা হয়েছে। রোগটি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন করতেই গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর র্যাবিস কন্ট্রোলের উদ্যোগে প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক: মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’।
জলাতঙ্ক হলো প্রাণিবাহিত র্যাবিস ভাইরাসঘটিত একটি রোগ। রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং প্রতিবছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যান। বাংলাদেশেও বছরে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন জলাতঙ্কে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মো জসিম উদ্দিন বলেন,জলাতঙ্ক রোগ এক ধরনের ভাইরাল রোগ। যা মানুষ এবং অন্যান্য মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে। প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে জ্বর এবং ক্ষতস্থানে ঝিলঝিল করা অন্যতম। এই উপসর্গগুলোর পর অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় যেমন প্রচণ্ড নড়াচড়া করা, অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা, পানিকে ভয় করা, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়াতে অক্ষমতা, মানসিক বিভ্রম এবং চেতনা হারানোসহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিলে ফলাফল নিশ্চিত মৃত্যু।
বিশ্বব্যাপী কুকুর দিয়েই জলাতঙ্ক সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। যেসব দেশের কুকুরের এই রোগ আছে সেসব দেশে ৯৯ শতাংশ জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয় কুকুরের কামড়ে। উপসর্গ শুরু হওয়ার পরই কেবল রোগটি নির্ণয় করা যায়।