ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

671

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই সঙ্গে অসুস্থ মর্মে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া তাকে কারাগারে ডিভিশন প্রদানেরও আদশে দিয়েছেন আদালত।

এর আগে নাজমুল হুদাকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। রায়ের কপিটি বিচারিক আদালতের হাতে পৌঁছার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। অন্যথায় বিচারিক আদালত তার গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। সেই মর্মে আজ রোববার আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীদের মাধ্যমে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন নাজমুল হুদা।

প্রসঙ্গত, আকতার হোসেন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর জাহির হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদক নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে। এ মামলায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন এমপি হোস্টেলে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ২৭ আগস্ট এক রায়ে নাজমুল হুদাকে ৭ বছর ও সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।

অন্য খবর  একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যা’র আঘাতে দিশাহারা দেশের মানুষ

রায়ের বিরুদ্ধে ওই দম্পতি হাইকোর্টে আপিল করেন। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ এক রায়ে হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এরপর আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে বিচার করার নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটির পুনরায় শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদাকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সিগমা হুদাকে তার কারাভোগকালীন সময়কে সাজা হিসেবে ঘোষণা করেন।

পরে আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

আপনার মতামত দিন