তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব খলনায়ক আহমেদ শরীফ

    1088

    ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন অভিনেতা বাংলা সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে পরিচিত আহমেদ শরীফ। তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় জোটের (বিএনএ) দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নাজমুল হুদা এই ঘোষণা দেন।

    রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের অতিথি মঞ্চে অভিনেতা আহমেদ শরীফও উপস্থিত ছিলেন। নাম ঘোষণার পর তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

    এর আগে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাওলানা আবেদ আলী। তবে তার বাড়ি চট্টগ্রাম হওয়ায় সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান নাজমুল হুদা। আবেদ আলীকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিএনপির ঢাকা মহানগরের তিন শীর্ষ নেতার নামও ঘোষণা করেন নাজমুল হুদা। মো. শাহজাহান সাজুকে সভাপতি, নিয়ামুল বাশাকে সাধারণ সম্পাদক ও খালেদ আক্তারকে ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন তিনি।

    অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

    নতুন মহাসচিবের নাম ঘোষণার পর তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘আহমেদ শরীফ সাহেব মহাসচিব হয়েছেন। সমস্যা হলো উনাকে তো আমরা ভিলেন হিসেবে চিনি। অবশ্য আমাদের দলে নায়কও আছেন সমস্যা হবে না।’

    অন্য খবর  পশুর দাম চড়া: তাই ক্রেতা কম

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা ও শিল্পপতি সালমান এফ রহমান প্রমুখ।

    গত ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর নাজমুল হুদার নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি গঠিত হয়।

    এর আগে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে তিনটি দল গড়েছিলেন নাজমুল হুদা। সেই হিসেবে ‘তৃণমূল বিএনপি’ তার তৈরি চতুর্থ দল।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর গঠিত প্রথম স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন নাজমুল হুদা। খালেদা জিয়ার দুই সরকারের আমলে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

    দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১০ সালের ২৩ জুন নাজমুল হুদাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

    ভুল স্বীকার করে খালেদা জিয়ার কাছে আবেদন করার পর ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আবার বিএনপির সদস্যপদ ফিরে পান নাজমুল হুদা। কিন্তু ২০১৪ সালের ৬ জুন সংবাদ সম্মেলন করে অভিমানের কথা তুলে ধরে নিজেই বিএনপি ত্যাগের ঘোষণা দেন।

    আপনার মতামত দিন