বুধবার রাতে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ। এতে অন্তত ১০টি ভবন হেলে পড়েছে। মার্কিন ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ জরিপের (ইউএসজিএস) মতে মায়ানমারের মাওলাইক ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র, রিখটার স্কেলে যেখানে এর মাত্রা ছিল ৬.৯। বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ইউএসজিএসের মতে, ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেটের ঠোকাঠুকির ফলে গতকালের ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এমনিতে দুইটি প্লেট পরস্পরের দিকে বছরে ৪০-৫০ মিলিমিটার করে এগিয়ে আসছে। ভারতীয় প্লেটটি এ ক্ষেত্রে ইউরেশিয় প্লেটের তলার ঢুকে যাওয়ার সময়ে এই কম্পন অনুভূত হয়।
হিমালয়ের পাদদেশে থাকা এই অঞ্চলটি বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ। বেশ কয়কটি বড়সড় ভূমিকম্প এই অঞ্চলে হয়ে গিয়েছে। ১৯৩৮ সালে বিহার, ১৯০৫ সালে কাংরা, ২০০৫ সালে কাশ্মীরের ভূমিকম্প, ২০১৫ সালে নেপালের ভূমিকম্প, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় আসামে ১৯৫০ সালের ১৫ আগস্ট।