বন্ধু শেখ কামালকে কেমন দেখেছিলেন সালমান রহমান

123

ঢাকা -১ সাংসদ সালমান এফ রহমান ছিলেন আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজন ছিলেন প্রিয়বন্ধু। কেমন ছিলেন বন্ধু শেখ কামাল? বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি তারই স্মৃতিচারণ করেন ঢাকা-১ সাংসদ সালমান এফ রহমান।

সালমান রহমান বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দূরদর্শী। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই অনেক সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকেছেন, গড়েছেনও। সালমান এফ রহমানের ভাষায়, ‘কামালকে সবাই চেনেন আবাহনী দিয়ে। কিন্তু তিনি আরেকটা সংগঠন স্পন্দনও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তার কথায়, ‘কামাল মাত্র ২৬ বছর জীবিত ছিলেন। এই সময়ে তিনি এতগুলি সংগঠনের সঙ্গে জড়িতই ছিলেন না, সেখানে পারফর্মও করতেন। আজাদের জন্য ক্রিকেট খেলেছিলেন, ফাস্ট বোলারও ছিলেন। ভালো বোলিং করতে পারতেন। বাস্কেটবলে নামি ক্লাবেও খেলতেন।’

এর পরেই সালমান এফ রহমানের স্মৃতিতে উঠে আসে আবাহনীর শুরুর দিকের কথা। কীভাবে ক্লাবটি গড়ে উঠলো মোহামেডান নামক বড় ক্লাব থাকার পরেও আবাহনী ক্লাব গড়ে তুলেন।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে কেন তিনি আবাহনী করতে চাইতেন। তখন ফুটবল ক্লাব একটাই ছিল-মোহামেডান। খেলার মান বাড়াতে প্রতিযোগিতার জন্যই মোহামেডানের মানের আরেকটা ক্লাব তিনি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে শুধু তৈরি-ই করেননি। এর ফলে আবাহনী – মোহামেডানের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বছরের পর বছর রয়ে গেছে।’

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্র ছাত্রীদের মানববন্ধন

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘কামালের অনেক গুণ ছিল। দুটো জিনিস বলতেই হয়, শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই না, অনেকের চাকরির জন্যও তদবির করতেন। সবাইকে সাহায্য করার অনুভূতি কাজ করতো। আমি সব সময়ই বলে এসেছি, যেটা নতুন প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হওয়ার পরেও শেখ কামাল বিভিন্ন প্রলোভনে পড়তেন না। এমনকি ভাবতেন না নিজের কথাও। বেশ কিছু ঘটনার উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান আরও বলেছেন, ‘ওই সময় নতুন দেশ, অনেক ব্যবসায়ীই আমার সামনে তাকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছেন। কমিশনের লোভ দিয়েছেন। কিন্তু কেউ বলতে পারবে না কোনও কিছুর সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। আমরা কিন্তু এর পরে, কত বড় বড় প্রধানমন্ত্রী এসেছেন, তাদের পরিবারের ছেলেরা কী কী করেছেন, সবই জানি।’

‘‘একবার লন্ডন যাচ্ছিলাম, কামালকে বলেছিলাম তোমার জন্য কী আনবো? ওই সময় যে কেউ বলতো শার্ট আনো, কলম আনো। কিন্তু তিনি বললেন না, আমার আবাহনীর ছেলেদের জন্য কেডস আনতে হবে। জাপান যাচ্ছিলাম, তখন স্পন্দনের জন্য ইলেক্ট্রিক অর্গানও আনতে বলেছিলেন’।”

সর্বশেষ তিনি বলেন, আজ বিশ্বংগনে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রেই প্রতিনিধিত্ব করতেন যদি আমার বন্ধু শেখ কামাল বেচে থাকতেন।”

অন্য খবর  দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো: সালমান এফ রহমান

 

 

 

 

অনুষ্ঠান আয়োজনেঃ আবাহনী লিমিটেড

আপনার মতামত দিন