প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে দোহারে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

556

ঢাকার দোহার উপজেলায় প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  উপজেলার উত্তর শিমুলিয়া কবরস্থান এলাকায় রোববার বিকেলে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন। নিহত সাবরিন জেবিন (১৮) ওই গ্রামের প্রবাসী ফরহাদের মেয়ে ও মালিকান্দা মেঘুলা স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবসায়িক শিক্ষা শাখার ১ম বর্ষের ছাত্রী।

নিহত কলেজ ছাত্রীর মামী নাসরিন জানান, বিকেলে জেবিন সকলের অগোচরে নিজ ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরিবারের লোকজন তার কোনা সাড়াশব্দ না পেয়ে ও জেবিনের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পেয়ে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

পরে জেবিনকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মামী আরও জানান, জেবিনের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার জানাবাদ গ্রামের জামাল গাজীর ছেলে রিফাতের (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারই তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়। পনেরো দিন আগে ওদের আংটি পড়ানোর কথা ছিল। এখনও আংটি পড়ানো না হওয়ায় ওদের দু’জনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ঝগড়াও হয়েছে। রিফাতের সঙ্গে অভিমান করেই জেবিন এমন কান্ড ঘটালো বলে অভিযোগ তার।

অন্য খবর  দোহার থেকে আটককৃত তিনজন ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য: সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব

একই অভিযোগ করে নিহতের মা তাসলিমা বলেন, গত দু’দিন যাবৎ আমার মেয়ের মন খুব খারাপ ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম ওর কোনো সমস্যা হয়েছে। ওকে আমি কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করেছিলাম কি হয়েছে মা। উত্তরে মেয়ে বলেছিল রিফাত আমাকে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছে। মরে যেতে বলেছে। তারপরই আজ বিকেলে মেয়ে আমার এমন কান্ড ঘটালো।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ ইসরাত করিম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জেবিনের মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় হ্যাঙ্গিংমার্ক স্পষ্ট ডান দিকে থেকে বামে ছিল। তবে বামে বেশি আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়েই জেবিন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

দোহার থানার ডিউটি অফিসার এসআই  লিয়াকত জানান, সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত দিন