পবিত্র শবেবরাত আজ

8
পবিত্র শবেবরাত আজ

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল বরাত আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এদিন দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।

হিজরী বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা মহিমান্বিত রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। পবিত্র শবেবরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়। গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির মহিমান্বিত এক রজনী পবিত্র শবেবরাত। মুক্তির রজনী নামেও পরিচিত এই রাত। হাদিস শরিফে এই রাতের নাম ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান’ অর্থ- মধ্য শাবানের রাত।

এই রাতে স্বয়ং আল্লাহতায়ালা বান্দাকে ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডাকতে থাকেন। রিযিক বৃদ্ধির জন্য আহ্বান করেন। অসুস্থদের সুস্থতার সুসংবাদ দান করেন মহান সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত এভাবেই বান্দাকে ডাকতে থাকেন তিনি। এসব কারণে এ রাতের গুরুত্ব তাৎপর্য ও ফজিলত অন্যান্য সাধারণ রাতের তুলনায় অনেক বেশি।

এই রাতে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি, ঘোরাফেরা, আতশবাজি, পটকা ফুটানো, হালুয়া রুটি বানানোসহ অন্যান্য দুনিয়াবী কাজে ব্যস্ত না থেকে যথা সম্ভব আল্লাহ তায়ালার ইবাদাতে, জিকির আজকার, তওবা ইস্তিগফার, দলবদ্ধ না হয়ে একাকী কবর জিয়ারত, নফল নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব রাত যাপন করা সওয়াবের কাজ। আর শবে বরাত পরবর্তী দিনে রোজা রাখা অনেক বড় নেক আমল।

অন্য খবর  দোহারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একহাজার পরিবারের মাঝে উপহার বিতরণ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত উপস্থিত হয় তখন তোমরা এ রাত (ইবাদতের মধ্যে) জাগরণ কর এবং দিনে রোজা রাখ (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৮৮)।

অন্যত্র নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এই রাতে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং ফজর উদিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বলতে থাকেন গুনাহ থেকে ক্ষমা চাওয়ার কে আছ? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। অসুস্থতা থেকে সুস্থ চাওয়ার কে আছ আমি তাকে সুস্থ করে দিব। রিযিক অন্বেষণকারী কে আছ? আমি তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দিব। কে আছ তওবাকারী? আমি তার তওবা কবুল করে নিব (আল হাদিস)।

হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতপর শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া তার সমগ্র সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।’ (কিতাবুস সহীহ, হাদীস- ৫৬৬৫)

এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা ও বিভিন্ন মহামারি থেকে মুক্তির জন্য মুসলমানরা মোনাজাত করবেন। এছাড়া অনেকেই এ রাতে মা-বাবাসহ আত্মীয়দের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।

আপনার মতামত দিন