নবাবগঞ্জ ইসলামী ব্যাংক থেকে গ্রাহকের দুইলক্ষ টাকা উধাও

2069

ঢাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার ইসলামিক ব্যাংকের নবাবগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেবায় অনিয়ম ও এক গ্রাহকের দুইলক্ষ টাকা উধাও এর অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাহ্রা ইউনিয়নের বাহ্রা গ্রামের বাসিন্দা রাজিয়া বেগম ইসলামীক ব্যাংক নবাবগঞ্জ শাখার একাউন্ট নং ১৮৯১১ এর গ্রাহক তিনি তার নিজ একাউন্ট থেকে দশ (১০০০০) হাজার টাকার একটি চেক নিয়মিত কাউন্টারে থেকে লিখে ক্যাশে জমা দেন।

ক্যাশিয়ার দশ হাজার টাকা ক্যাশ দিয়ে বলেন আমাকে পাঁচ (৫০০) শত টাকা দেন। জবাবে রাজিয়া বেগম বলেন কেন দিবো, জবাবে ক্যাশিয়ার বলেন আপনার একাউন্টে কোন টাকা নেই। ৫০০ শত টাকা জমা রাখতে হবে তানা হলে আপনার একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।এই কথা সুনে রাজিয়া বলেন গত মাসের ১৯ অক্টোবর ৩০ হাজার ২০ অক্টোবর ২০ হাজার টাকা তিনি উত্তোলন করেছেন এবং একাউন্টে দুই লক্ষ দশ হাজার টাকা ব্যালেন্স ছিল। আমি কেবল দশ হাজার টাকা উঠালাম বাকী দুই লক্ষ টাকা আছে বলে দাবী করে ক্যাশিয়ারকে। প্রতি উত্তরে ক্যাশিয়ার বলেন গত ২৬ অক্টোবর আপনার নিজ স্বাক্ষরে দুই লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে গেছেন।কথা সুনে রাজিয়া বেগম হাউ মাউ করে কান্নাকাটি শুরু করেন। ব্যাংক কতৃপক্ষ সঠিক তথ্য এবং পরামর্শ না দিয়ে বের করে দেন। ব্যাংকের নিচে এসে পাগলের মত কাঁদতে থাকলে এসময়ে অজ্ঞাত নামা এক ভদ্র লোক রাজিয়াকে ব্যবস্থাপক মতিউর রহমানের কাছে নিয়ে যায়।তার পর তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে রাজিয়াকে তাহার আপনজনকে সাথে নিয়ে রবিবার আসতে বলেন।

অন্য খবর  ঈদে ভাঙ্গনে সর্বহারা মানুষের পাশে কেউ নেই

রাজিয়া তার নিকটতম লোকদেরকে নিয়ে গেলে, ব্যবস্থাপক বিভিন্ন তালবাহানা করে এবং ব্যাংকের সি সি ক্যামেরায় ১৫ দিনের অতিরিক্ত রের্কড থাকেনা বলে হেড অফিস থেকে এনে দিবেন ২/৩ দিনের সময় বেঁধে দেন।

এদিকে  অনুসন্ধানে গেলে ব্যবস্থাপক মতিউর রহমানকে পাওয়া যায়নি। এবং কর্তৃপক্ষ অপারেশন ম্যানেজার সায়েম মানিক তার দায়ীত্ব পালন করেন বলে জানান।তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা প্রথমে এড়িয়ে যান। পরবর্তিতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তার ব্যাংকিং নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের বিনা অনুমতিতে কিছু বলতে পারছি না।স্যার আসলে বলবেন, এবং আগামী রবি/সোমবার আসার জন্য বলেন।

আপনার মতামত দিন