দোহারে মাদক ও বখাটেপনা ঠেকাতে দোহার থানা পুলিশের এক ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। গত শুক্রবার থেকে সপ্তাহব্যাপি পুলিশের মটরসাইকেল র্যালীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাদক স্পট ও স্কুল কলেজের সামনে ইভটিজিং বিরোধী মতবিনিময় সভা চালাচ্ছে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাজ্জাদ হোসেন।
দোহার থানা পুলিশের এই ব্যতিক্রমি প্রচারনায় ও মতবিনিময়ের কারনে এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহলে পুলিশের ভুমিকা প্রশংশনীয় বলে দাবী করেন স্থানীয়রা।স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ পুলিশের এমন উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছে বলে জানা যায়।
মুকসুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, আমার জানামতে বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ী,সেবনকারী ও ইভটিজিংকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও কথা বলতে সাহস পায় না সাধারন মানুষ।সাধারন মানুষের ধারনা করেন মাদক ব্যবসায়ী,সেবনকারী ও ইভটিজিংকারীদের সাথে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে।একথাগুলো এলাকার কিছু দালাল শ্রেনীর লোকেরা প্রচার করে থাকেন।কিন্তু সম্প্রতি দোহার থানা পুলিশের এমন ব্যতিক্রমি প্রচারন ও উদ্যোগের ফলে তৃনমুল সাধারন মানুষ মাদক ব্যবসায়ী,সেবনকারী ও বখাটেদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস যোগাবে।ফলে কিছুটা হলেও মানুষের ভয় দূর হবে।
ইসলামাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, মটরসাইকেলযোগে দোহার থানা পুলিশ মহড়া দিয়ে আমাদের স্কুলে ও সুতারপাড়া,ঝনকি,মালিকান্দা গ্রামে এসে মাদক ও বখাটেদের তালিকা তৈরী করতে কথা বলেছে।এমনটা এই প্রথম দেখলাম।পুলিশের এমন কর্মকান্ডে মাদক ব্যবসায়ী ও বখাটেরা ভয় পাবে।ফলে গ্রামগঞ্জের স্কুলের সামনে থেকে বখাটেদের উৎপাত অনেক কমে আসবে।তাচাড়া বাবা-মা ও অভিভাবকদের মাঝে সন্তানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ী,সেবনকারী ও বখাটেরা ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা নয়।এরা আমাদের সমাজের কারো না কারোর সন্তান,ভাই কিংবা স্বজন।এদেরকে সুপথে আনার দায়িত্ব প্রত্যেক পরিবারকে নিতে হবে।অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন আপনার সন্তান কখন বাড়ি থেকে বের হন এবং কোথায় যায়?কার সাথে মেলামেশা করছে ?এমন খবর প্রতিমুহূর্তে আপনাকে রাখতে হবে।১৮ বছরের নিচে কাউকেও মটরসাইকেল চালাতে দিবেন না এবং কিনেও দিবেন না।মনে রাখবেন আইন দিয়ে সবকিছু হয় না।পারিবারিক সচেতনতা থাকলে মাদকের ব্যবহার ও বখাটেপনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।তবে এধরনের অপরাধ দমনে আমরা(পুলিশ) জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করবে।আমরা প্রথমে সচেতনতামুলক প্রচার চালাচ্ছি।এরপর মাদক ও বখাটেদের বিরুদ্ধে আরোও কঠোর অভিযান চালাবো।