দোহারে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

197
দোহারে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় চিকিৎসকের অবহেলার কারনে মারজানা (০৫) নামে এক মেয়ে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় এক ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন শিশুটির পরিবার ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। মারজানা(৫) উপজেলার পৌরসভার চর লটাখোলা এলাকার মো.ইউনুসের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্র ও বিক্ষুদ্ধরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে দিকে প্রচন্ড জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারজানাকে ভর্তি করেন তার পরিবার। এসময় ডিউটিরত চিকিৎসক চিকিৎসাপত্র দেয়। সে অনুযায়ী ওষুধ চলতে থাকে। কিছুক্ষন পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক (ডিউটি ডাক্তার) শিউলি আক্তারকে খুঁজতে থাকেন মারজানার বাবা ইউনুস। অনেক খোঁজাখুজি করেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া যায়নি তাকে।

এসময় উপায়ন্তর উপায় না পেয়ে ওই চিকিৎসককে জরুরী বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করলেও রিসিভ করেননি বলে অভিযোগ করেন মারজানার বাবা ইউনুস। এর কিছুক্ষণ পর তার মেয়ে মারজানা মারা যায় বলেন ইউনুস জানান।

সরকারী রোটা অনুযায়ী ডিউটি ডাক্তার বা চিকিৎসকের দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে অবস্থানের কথা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে জয়পাড়া থানার মোড়ে দোহার জেনারেল হাসপাতালে অপারেশনের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডাঃ শিউলি আক্তার।

অন্য খবর  ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দোহারে উত্তেজনা - ধ্বস্তাধ্বস্তি

মারজানার বাবাসহ এলাকাবাসী পরে মৃত মেয়েকে কোলে নিয়ে রাস্তায় নেমে চিৎকার করেন এবং চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানান। সেসময় মারজানার বাবার সাথে চর লটাখোলা এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ জয়পাড়া থানার মোড় থেকে সরকারি হাসপাতাল পর্যন্ত প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এসময় আধাঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো.জসিম উদ্দিন জানান, এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ডাক্তারের বিষয় ও চিকিৎসার বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। চিকিৎসকের অবহেলা ও ভূল চিকিৎসার প্রমাণ পেলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে ডাঃ শিউলি আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে দোহার থানার সেকেন্ড অফিসার রাকিব হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ বিষয় দোহার থানায় অভিযোগ হয়নি। আমরা হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।  এ বিষয়ে তাদের হাসপাতালে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিভাগীয় পর্যায় ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে।

আপনার মতামত দিন