তিন বছরেও হয়নি সংস্কার: দেবে গেছে দোহারের লটাখোলা সেতু

649

ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা সেতুটি তিন বছর ধরে ভেঙে অনেকটা দেবে আছে। পুনর্নির্মাণের আগ পর্যন্ত সেতুটিতে গাড়ি চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, সেতুটি দোহার পৌরসভার ভেতরে পড়েছে। এর দুই পাশে দুটি ইউনিয়ন। জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। এটি বড় হওয়ার কারণে সংস্কার করা সম্ভব নয়। উপজেলা ও পৌরসভা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাসহ সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সুশীল কুমার সরকার বলেন, ‘সেতুটি জেলা পরিষদ নির্মাণ করলেও এখন এলজিইডির মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যত দূর জানি, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন।’
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির দুটি পিলার দেবে একাংশ উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। সেতুর দুই পাশের নিরাপত্তাবেষ্টনীও অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। সেতুর ওপর দাঁড়ালে কাঁপুনি লাগে।
দোহার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আনিসুর রহমান বলেন, সেতুটি ভেঙে এভাবে দেবে আছে তিন বছর ধরে। এর আগে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করেই উপজেলা প্রশাসন সেতুটি বন্ধ করে দেয়। তখন এলাকার লোকজন প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আবারও চলাচল করত। তিনি বলেন, সেতুটি দিয়ে দিনে অন্তত ১২ হাজার মানুষ হেঁটে ও গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করে।
বিলাসপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আনছার মাদবর বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোক পাঠিয়ে সেতুটিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে গাড়ি ওঠার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন শুধু মানুষ পারাপার হওয়ার মতো ছোট রাস্তা আছে। আর কত দিন গেলে এই সেতু ঠিক করা হবে আল্লাহই জানেন।
পৌরসভার মেয়র আবদুর রহমান মিয়া বলেন, সেতুটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল। উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মিলে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেন। পরে লোকজন আবার চলাচল শুরু করেছে। এখন আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ইউএনও কে এম আল আমীন বলেন, ‘সেতুটি অনেক বড়। এটি পুনর্নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে চিঠি পাঠিয়েছি। এখনো চিঠির কোনো জবাব পাইনি। পুনর্নির্মাণের আগ পর্যন্ত সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। আপাতত লোকজন চলাচল করার জন্য একটু ফাঁকা রাখা হয়েছে।’

আপনার মতামত দিন