দোহার উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ জয়পাড়া কলেজকে কেন সরকারী করণ করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে উপজেলার মুকসুদপুরে অবস্থিত পদ্মা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণের সকল প্রক্রিয়া স্থগিত করার আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। জয়পাড়া কলেজের পক্ষে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ আগষ্ট বুধবার এ আদেশ জারি করে উচ্চ আদালত।
জানা যায়, দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জয়পাড়া কলেজকে জাতীয়করণ না করে উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পদ্মা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় জয়পাড়া কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। জয়পাড়া কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে ছাত্র সংগ্রাম ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ। পরবর্তীতে গত ৬ মার্চ জয়পাড়া কলেজকে জাতীয়করণ কেন করা হবে না এই মর্মে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৬ আগষ্ট বুধবার ওই রিট আবেদনের শুণানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের আদালত বেঞ্চে পদ্মা ডিগ্রী কলেজের জাতীয়করণের প্রক্রিয়া রিট আবেদন নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেন এবং জয়পাড়া কলেজ কেন জাতীয়করণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে অবহিত করে রুল জারি করেন।এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী জয়পাড়া কলেজের সাবেক জিএস ও গভর্নিং বডির সদস্য আব্দুর রহমান আকন্দ নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, “২০০৮ সালে জয়পাড়া বড় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন জয়পাড়া কলেজকে সরকারী করা হবে। কিন্তু সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও জয়পাড়া কলেজকে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবির সুরাহা পেতে আমরা উচ্চ আদালতে রিট করেছি। আমরা মনে করি, এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে”।
তিনি আরো বলেন, আমি আশা করছি এবার আমরা দোহারবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে পাবো।
আরেক রিট আবেদনকারী জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক রাজিব শরীফ নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, “আমি আশা করছি এই রিট আবেদনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রতির বাস্তবায়ন ঘটবে”।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ জয়পাড়া কলেজের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. ফজলুল হক, সাবেক ভিপি আলমাছ উদ্দিন, সাবেক জিএস ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুর রহমান আকন্দ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাজীব শরীফ। ওই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ আগষ্ট বুধবার আদালত এ রুল জারি করেন।