করোনার সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখতে পারেন ধনীরা: রাশিম মোল্লা

141
করোনার সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখতে পারেন ধনীরা

২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশে কোটিপতি সংখ্যা ৮৪ হাজার। দ্রুত গঠন করা হোক জাতীয় খাদ্য সহায়তা ভাণ্ডার। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই প্রায় ৩ জনে ১ জন শনাক্ত হচ্ছেন। একদিনে মৃত্যু সর্বোচ্চ ২১২ জনে পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে মৃত্যু ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। শনাক্তও ১০ লাখ অতিক্রম করেছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে নিত্যদিন বহু লোক মারা যাচ্ছেন।

যা করোনায় শনাক্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর চেয়ে বেশি। যেটা সরকারি তালিকায় থাকছে না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক তথ্যে জানা গেছে, উপসর্গে প্রায় ৬৪ শতাংশ এবং করোনায় ৩৫ শতাংশ লোক মারা যাচ্ছেন। এ অবস্থায় ভাইরাসটি প্রতিরোধে চলতি মাসের শুরু থেকে চলমান কঠোর লকডাউনেও কমছে না মৃত্যু ও শনাক্তের হার।

যেহেতু করোনা একজনের কাছ থেকে আরেকজনে ছড়ায়, সেহেতু জনসমাগম বন্ধ করা ছাড়া করোনায় মৃত্যুর হার কমানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু চাইলেই তো জনসমাগম বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে জড়িত মানুষের রুটি-রুজি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লোকজনকে খাদ্যের নিশ্চয়তা দেয়া গেলে, তারা বাসায় থেকে বের হবেন না। ইতিমধ্যে করোনার জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনসমাগম কমাতে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন মনে করেনÑ এমন পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান লকডাউনের পরিবর্তে কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা প্রয়োজন।

অন্য খবর  দোহারে নতুন করে করোনা শনাক্ত- ৯ জনের

আসলেই করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউন, শাটডাউন, কারফিউর কোনো বিকল্প নেই। তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে মানুষের পেটে ভাত না থাকলে তারা বের হবেই। কেন না কেউ-ই চায়না খাবারের অভাবে তার সন্তান তার সামনে চিৎকার করুক। কান্না করুক। চলমান কঠোর লকডাউনে অনেক দিনমজুরের ঘরেই খাবার নাই। তারা বিপদে পড়েই ঘর থেকে বের হন। আবার লকডাউন, শাটডাউন কিংবা কারফিউ দিলে যারা দিন আনে দিন খায় এ রকম দুই-আড়াই কোটি মানুষের কি অবস্থা হবে? সেটাও কিন্তু ভাবতে হবে। বরং যে কয়দিন কারফিউ থাকবে সেই দিনগুলোতে তাদেরকে খাবার সরবরাহ করতে হবে, পরিবারের সদস্যদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে হবে।

যাদের খাবার প্রয়োজন তাদের ঘরে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিন। এরপর কারফিউর মতো কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। আর এই মহতী কাজটি করার জন্য দেশের কোটিপতিদের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে দেখতাম দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে ধনকুবেররা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সহায়তা দিতেন। দুর্গতদের পাশে ছুটে যেতেন তারা। কিন্তু চলমান  করোনায় এমন কার্যক্রম তেমন একটা চোখে পড়ছে না। মনে রাখবেন দেশে যদি করোনার সংক্রমণ আরো বেড়ে যায়, তাহলে আপনারাও রেহাই পাবেন না। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনায় সচ্ছল, ধনী, লাখোপতি, কোটিপতিরাই বেশি মারা যাচ্ছেন। অতএব নিজেকে বাঁচাতে, করোনার সংক্রমণ রোধে নিম্ন আয়ের মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করুন। দেখবেন অনায়াসে কার্যকর হবে লকডাউন কিংবা শটডাউন। দ্রুত কমে যাবে করোনার সংক্রমণ।

অন্য খবর  প্রতিক নিয়ে সাধারণ জনগনের দারে দারে সালমান এফ রহমান

লেখক: রাশিম মোল্লা

সাধারণ সম্পাদক: সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম

মফস্বল সম্পাদক: দৈনিক মানব জমিন

উপদেষ্টা: news39.net

সাধারণ সম্পাদক: দোহার নবাবগঞ্জ পেশাজীবি পরিষদ

আপনার মতামত দিন