করোনার রেশ থাকবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিতেও

206
করোনার রেশ থাকবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিতেও

নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস পার হতে চললেও এখনো চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সকল পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে প্রতিষ্ঠান খোলার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এদিকে করোনাকালে লেখাপড়ার ঘাটতি নিরূপণ করে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষ শেষ করার লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণে ইতোমধ্যে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। রাজধানীর ইন্দিরা রোডের নজরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে ৬ দফা প্রস্তাব সংবলিত স্মারকলিপিও দেন। তাতে ৫০ করে ১০০ নম্বরে বাংলা দুই পত্র এবং একইভাবে ইংরেজি দুই পত্র পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্বীয় ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে ব্যবহারিকের ২৫ নম্বর এমনি দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল; বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ ও মানবিক বিষয়ে একটি করে বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে বাকিগুলো ঐচ্ছিক ঘোষণার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশেষ ব্যবস্থায় এই পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ও চিন্তা করছে। সেই কারণে সারাদেশ থেকে সিটপ্ল্যান সংগ্রহ করেছে বোর্ডগুলো। সে অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩ ফুট দূরত্ব রেখে ‘জেড’ সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। শিক্ষা বোর্ড থেকে নভেম্বরে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অবশ্য আরও তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-শিক্ষার্থীদের অতীত পরীক্ষার (জেএসসি-এসএসসি) ফলের ওপর ভিত্তি করে গ্রেড দেয়া; স্বল্পপরিসরে পরীক্ষা নেয়া; (এই দুটি গ্রহণ না করলে) আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

আপনার মতামত দিন