স্বাধীন বাংলাদেশে এরশাদই সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক: সালমা ইসলাম

275

“দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তীকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই হচ্ছেন বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক।”জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, যমুনা গ্রুপের পরিচালক, যুগান্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি একথা বলেছেন। আরও বলেন “তার নয় বছরের শাসনামলে দেশে যত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার সিকি ভাগও আগের বা পরের কোনো আমলে হয় নি। তিনি দেশের উন্নয়নের রূপকার। তার চিন্তা, চেতনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ অতি দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।”

সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে সালমা ইসলাম বলেন, “নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সমঝোতায় আসুন। সেটা দেশ, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য মঙ্গলজনক হবে। সমঝোতা না হলে বড় দুই দলকেই কঠিন মাশুল দিতে হবে।”

তিনি বলেন, “দোহার-নবাবগঞ্জের নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে এনে নাগরিক সেবা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই আমার স্বপ্ন। তাই নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”

বুধবার বিকালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাহ্রা গ্রামে জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে মো. মাইনুদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি সালমা ইসলাম এমপি বলেন, মহাজোটে জাতীয় পার্টি সীমাহীন রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার। অন্যকারও ব্যর্থতার দায়ভার জাতীয় পার্টি কখনও বহন করবে না। জনগণ এবার ব্যালটের মাধ্যমে তাদের সমুচিত রায় দেবে। জনগণ দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে আগামী নির্বাচনে।

অন্য খবর  বাড়ছে খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা: কমে গেছে গাছ ও গাছি

তিনি বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জে বারবার অনেকেই মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। কিন্তু এলাকার তেমন কোনো উন্নয়ন হয় নি। কেরানীগঞ্জে গ্যাস থাকা সত্ত্বেও এলাকার মানুষের ভাগ্যে গ্যাস সংযোগের সুবিধা জোটেনি। অতিষ্ঠ জনগণ গভীর সংকট থেকে মুক্তির আশায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আবারও ক্ষমতায় আনতে চায়।

সালমা ইসলাম আরও বলেন, “দোহার-নবাবগঞ্জের সন্তান, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, শিল্পপতি নুরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশের জন্য প্রাণ বাজি রেখে তিনি দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৪২ বছরেও মানুষ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার ফসল ভোগ করতে পারেনি। তিনি এলাকার জনগণকে একত্রিত করে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে এলাকার উন্নয়ন করতে চান। এতে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টির অগ্রগতি ঠেকাতে ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন একদিন না একদিন ঘটবেই।” স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় পার্টিকে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার সদস্য সচিব শরফুদ্দিন আহম্মেদ শরীফ, উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির, জুয়েল আহম্মেদ, মো. ওমর ফারুক মোল্লা, মো. কফিল উদ্দিন দেওয়ান, আবদুল মান্নান মাস্টার, মো. শাহজাহান, মো. জাহাঙ্গীর চোকদার, শেখ ফরিদ আহম্মেদ, একেএম আবদুল হালিম, দোহার জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. ওহাব তালুকদার, মো. বশির আহম্মেদ খান, কৃষক পার্টির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এমএ মজিদ, যুব সংহতির সভাপতি শেখ আবুল হোসেন আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, বোরহান উদ্দিন, মহিলা পার্টির সভাপতি শেখ রেশমী আক্তার, মনোয়ারা মান্নান, মো. তাজুল ইসলাম, মো. মতিন মেম্বার, মো. মহসিন মিয়া, মো. জালাল উদ্দিন, মো. ফরিদ হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. রতন মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রুবেল, ছাত্র সমাজের সভাপতি এমএ সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন, লুনা আক্তার, পারভীন বেগম, তুষার আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম টুরিস্ট, মো. সৈকত হোসেন, মো. শাহিনুজ্জামান, মাসুদুর রহমান মাসুদ, দেওয়ান খলিলুর রহমানসহ স্থানীয় জাতীয় পার্টি, যুব সংহিত, মহিলা পার্টির ছাত্রসমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্য খবর  তীব্র শীতে শীতার্তদের পাশে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান

যারা যোগদান করেন : মো. মিজানুর রহমান ও মো. লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন দল থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনে যোগদান করেন। তারা হলেন- আলেয়া রহমান রত্না, রিনা আক্তার, মোসা. ফাতেমা আক্তার, ফারজানা আক্তার রিনা, মো. হুমায়ুন খান, মো. হৃদয় হোসেন, জেকে রাব্বি হোসেন, মো. বাপ্পী, মো. সাব্বির হোসেন, নয়ন, রঞ্জয়, রনি, ঋতু, অমিত, শুব্রত, বিশ্বজিৎ, মো. তাহের হোসেন, তুষার আহম্মেদ, মো. আরিফ হোসেন, মো. শাহিন মিয়া, সুমন, হাসান মিয়া, অনীল, প্রসেনজিৎ বিকাশসহ অন্যরা।

আপনার মতামত দিন