এগিয়ে চলছে দোহার পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ

877

বেলায় বেলায় দোহার পৌরসভার বয়স দেড় দশক পার হতে চলেছে। ২০০০ সালে প্রথম নির্বাচন হলেও সীমানা জটিলতা ও নাম পরিবর্তন সমস্যার কারণে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টিতেই হাটু পানি, কাদায় চলচল অনুপযোগী বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দোহার পৌরসভা। তার উপর পুরনো মেয়র কাউন্সিলররাই রয়েছেন শাসক হিসেবে। ফলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তেমন গতি পায়নি। অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চলছে এ পৌরসভাটি। মাঝে ২০১৩ সালে ভোট গ্রহণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে একজন নাগরিকের রিটের কারণে তা আবার থমকে যায়। এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকার রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি ও নানা মহলের তদবিরের ফলে চলতি বছরের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করে পৌর কর্তৃপক্ষ।

পৌর কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাজটি পায় যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুরমা এন্টারপ্রাইজ ও লতা কন্সট্রাকশন। ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান লতা কন্সট্রাকশনের মালিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানের ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব খান এবং সুরমার মালিক মো. আইয়ুব আলী।

অন্য খবর  পৌরসভার সীমানা সংক্রান্ত গেজেটটি মিথ্যাঃ দোহার উপজেলা প্রশাসন

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্যাদেশ পাওয়ার পর কাজ শুরু করছে প্রতিষ্ঠান দুটি। এরই মধ্যে জয়পাড়া বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ শেষ। করম আলীর মোড় থেকে জয়পাড়া বাজার ব্রীজ পর্যন্ত শেষ হয়েছে ড্রেন বসানোর কাজ। এখন কাজ চলছে কলেজ মোড়ে।

কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বিশ্বব্যাংকের নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আবদুল মোতালেব বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, কাজের মান খারাপ না। সবই তো আর শতভাগ সম্ভব নয়। তবে এ কাজের সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে।

দোহার পৌর প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কাজের কোথাও কমতি নেই। স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই সংস্কার কাজ হচ্ছে। তবে ধীর গতির কথা স্বীকার করেন তিনি।

লতা কন্সট্রাকশনের মালিক মোতালেব খান বলেন, পৌরসভা ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের দেয়া সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। একটি মহল টেন্ডারে অংশ নিয়ে কাজ না পেয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা আমার নিজের এলাকা তাই যাচাইসাপেক্ষেই কাজ করার চেষ্টা করছি।

আপনার মতামত দিন