স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলনঃ নির্মল গুহের প্রত্যাশায় দোহার- নবাবগঞ্জবাসী

113
নির্মল রঞ্জন গুহ

 

দীর্ঘ‌ সাত বছর ধরে স‌ম্মেলন না হওয়ায় অনেকটা ঝি‌মি‌য়ে পড়েছিলো স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা- কর্মিরা। ক্যসিনোকাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসারে নাম আসায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

 

তাই ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছা‌সেবক লী‌গের স‌ম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান শুরু করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

ফলে সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে পারেন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ কেউ।

 

সম্মেলনের মাধ্যমে সৎ, ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতাকর্মীদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব বাছাই করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, দলের জন্য যারা নিবেদিত, দলের প্রতি আনুগত্য, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল এমন লোকদের থেকেই নেতৃত্ব আসবে।

 

আর এই ক্ষেত্রে সবার আগে এগিয়ে স্বচ্ছ জনবান্ধন নেতা হিসেবে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। আর এজন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে দোহার- নবাবগঞ্জবাসীর আত্মার আত্মীয় নির্মল গুহের সভাপতি হওয়ার দিকে।

 

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ সময় নিউজ৩৯কে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আমার প্রাণের সংগঠন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুচনালগ্ন থেকেই আমি ছিলাম এবং আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আসছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুঃসময়ে যাদের ভূমিকা ছিল এমন রাজপথের ত্যাগী এবং ক্লিন ইমেজের নেতারাই আসবে মুল নেতৃ‌ত্বে। বিতর্কিত কারো কমিটিতে আসার সুযোগ নেই । তবে এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি পরিচ্ছন্ন সংগঠন। এখানে কোনো অনুপ্রবেশকারী নেই। এবারের সম্মেলনে কেমন নেতৃত্ব আসবে জানতে চাইলে তিনি জানান, ত্যাগী, সৎ এবং ক্লিন ইমেজের পরিচ্ছন্ন নেতৃ‌ত্ব এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এমন নেতৃ‌ত্বই আসবে এবারের সম্মেলনে।

অন্য খবর  দোহার পৌর ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

 

উ‌ল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের তৎকালীন সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে আহ্বায়ক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রথম কমিটি হয়। পরে ২০০২ সালে প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন বাহাউদ্দিন নাছিম, সাধারণ সম্পাদক হন পঙ্কজ দেব নাথ।

সর্বশেষ, ২০১২ সালে মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি এবং পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হয়েছিল। মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ওই কমিটিই এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কাসিনোকাণ্ডে নাম এসেছে মোল্লা আবু কাউসারের ও। দলের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানের কারণে এবারের কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আসবে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।

আপনার মতামত দিন