সালমান এফ রহমান আমার নেতা। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সালমান এফ রহমানই ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে আমি আজ জয়পাড়া কলেজের মাঠে এই ঘোষনা দিয়ে গেলাম। সালমান এফ রহমানই এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজিত এক ছাত্র সংবর্ধনায় তিনি এই কথা বলেন।
জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজিত এক ছাত্র সংবর্ধনায় মাহবুবুর রহমান বলেন, আজ সালমান এফ রহমানের কারনে দোহারে পদ্মা শাষনের কাজ হচ্ছে। সেই ২০০১ সালে সালমান এফ রহমানের কারনে দোহারের মানুষ আর্সেনিক মুক্ত হয়েছে। আর আমি যে ঢাকা জেলা চেয়ারম্যান হয়েছি তাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন সালমান এফ রহমান।
আজ সালমান এফ রহমানের প্রত্যক্ষ তত্তাবধানে আজ কেরানীগঞ্জ থেকে দোহারে চার লেনের রাস্তার কাজ অচিরেই শুরু হচ্ছে এবং পদ্মা ব্রীজ থেকে পদ্মা বাধ দিয়ে ৪ লেনের ঢাকা বাইপাসের কাজও অতি দ্রুত শুরু হচ্ছে দোহারের পদ্মা তীর দিয়ে। এই কাজ গুলো শুরু হলে দোহারের চেহারা অচিরেই বদলে যাবে।
আর আমি ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছি সেদিন সাদা পোশাকে দায়িত্ব নিয়েছি। জেলা পরিষদকেও আমি দুর্নীতি স্থান দিবো না। এই বছর ঢাকা জেলা পরিষদে ১০০ কোটি টাকার কাজ হবে, দোহার-নবাবগঞ্জ এ ৩০ কোটি টাকার কাজ অতি দ্রুত শুরু হচ্ছে। এক মাস পর থেকেই যেদিকে যাবেন সেই দিকেই ঢাকা জেলা পরিষদের কাজের নমুনা দেখবেন। দোহার নবাবগঞ্জে কোন রাস্তাই আর কাঁচা থাকবে না। সব পাকা হয়ে যাবে অতি দ্রুত ইনশায়াল্লাহ।
দোহার-নবাবগঞ্জের আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা নিয়ে সালমান এফ রহমানই আসছেন সেই নিশ্চয়তা দিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, শেখ কামালের ঘনিষ্ট বন্ধু, শেখ হাসিনার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন সালমান এফ রহমানই নৌকা প্রতিক নিয়ে আসছেন, তিনিই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। সবাইকে নিয়েই আমরা নির্বাচন করবো।
জয়পাড়া কলেজের ছাত্র সংবর্ধনা প্রতিরোধকারীরা কোথায় সে প্রশ্ন তুলে মাহবুবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগে কোন ষড়যন্ত্রকারীর স্থান নেই। যারা আজ ছাত্র সংবর্ধনা প্রতিরোধকরার ঘোষনা দিয়েছেন তারা এক সময় দোহারের রাজনীতির ইতিহাস থেকে মুছে যাবে।
এই সময় মাহবুবুর রহমান জয়পাড়া কলেজের জন্য একটি একাডেমিক ভবন, একটি ছাত্র সংসদের জন্য একটি ভবন, জয়পাড়া কলেজের রাস্তাটি পাকা করার ঘোষনা দেন।