শত বাধা হুমকি উপেক্ষা করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন: সালমা ইসলাম

224
সালমা ইসলাম

ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, আমি সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না। আপনারাও হুমকি-ধমকিতে ভয় পাবেন না। ভোট আপনার মূল্যবান অধিকার, আগামী ৩০ তারিখে ভয়-ডর উপেক্ষা করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

আপনার যাকে ভালো লাগে, তাকে ভোট দেবেন। কারও ভয়ে মূল্যবান এ রায় প্রদান থেকে বিরত থাকবেন না। শুক্রবার নবাবগঞ্জের কোমরগঞ্জের ঋষিপাড়া, দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নে আউলিয়াবাদ ফকিরবাড়ী, নবাবগঞ্জের বান্দুরায় পৃথক গণসংযোগ এবং উঠান বৈঠকে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করেছি।

এই সময়ে এলাকায় কোনো টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ব্যবসা, দুর্নীতি করতে দেয়া হয়নি। দলীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অন্য কোনো হয়রানিমূলক আচরণ করিনি কারও প্রতি।

দুই উপজেলার (দোহার-নবাবগঞ্জ) বাসিন্দারা শান্তিতে ছিল। আসন্ন নির্বাচনে আমাকে মটরগাড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠালে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকাবাসীর শান্তি ও স্বস্তি নিশ্চিত করব।

এদিকে মটরগাড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তিনি নবাবগঞ্জের শোল্লা ইউনিয়নের শোলানগর, আবদানী, কৈলাইল ভাঙ্গাভিটা, চুরাইনের পাইকসায় গণসংযোগ ও পথসভার মটরগাড়ি প্রতীকে ভোট চেয়েছেন।

দেশবরেণ্য এ শিল্পপতি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে একটি পক্ষ থেকে ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। এটা এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার দোহার-নবাবগঞ্জের বাসিন্দাদের অনুরোধ জানাব ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

কেননা জনগণ দেশের মালিক, আর এ জনগণই তাদের সঠিক জনপ্রতিনিধি বাছাই করে নেবেন। সে সুযোগ নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি, এখানে ভিন্ন কিছু হতে দেয়া হবে না। সারা দেশের ৩০০ আসনে যে রকম নির্বাচন হোক না কেন, দোহার-নবাবগঞ্জের নির্বাচন হবে অন্যরকম

অন্য খবর  আলমগীর হোসেনঃ ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী

কোমরগঞ্জের ঋষিপাড়ার নির্বাচনী সভায় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আগে নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হতো, তাদের জায়গা-সম্পত্তি দখল করে নিত। আমার সময়ে সেটা সম্ভব হয়নি, আমাকে নির্বাচিত করলে ভবিষ্যতেও সেটা হতে দেয়া হবে না।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দু’বারের সংসদ সদস্য বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমার দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করেছি। এই সময়ে কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি- তা কেউ বলতে পারবে না।

এলাকার মানুষ যখনই কোনো সমস্যার কথা বলেছেন, তখনই পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, গির্জা এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেছি। সেই দাবি নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি, সেসব করার সুযোগ চাই। আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের আউলিয়াবাদের জনসভায় মো. মশিউর রহমান বলেন, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম গত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। এছাড়া শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেননি।

এসব কারণে দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের পছন্দের প্রার্থী হচ্ছেন সালমা ইসলাম। মটরগাড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে ফের বিজয়ী করতে চাই, করতে হবে।

একই নির্বাচনী সভায় মটরগাড়ি প্রতীকের সমর্থক মাসুম হায়দার বলেন, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম দোহার-নবাবগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এ কারণে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা তার পক্ষে মাঠে নেমেছি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তাকে মটরগাড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করব।

দোহারের আউলিয়াবাদ ফকিরবাড়ীর সভায় মো. খোকন মিয়া বলেন, যমুনা গ্রুপ বা অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম দোহার-নবাবগঞ্জবাসীকে শুধু দিয়েই যাচ্ছেন। কেননা আল্লাহতায়ালা তাদের অঢেল দিয়েছেন, শুধু আমাদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সুখের জীবন ত্যাগ করে আমাদের কাছে বারবার ছুটে আসছেন তারা। পরোপকারী এ মানুষের পাশে বরাবরের মতো এবারও থাকব আমরা।

অন্য খবর  ধোয়াইর বাজারের কাছে পদ্মা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

মটরগাড়ি প্রতীকের পক্ষে আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এলাকার মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। শীতের সময় আয়েশি জীবন ছেড়ে দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের সেবা করার জন্য ছুটে আসছেন।

শীতবস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রেই তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাকে যদি আমরা সমর্থন না করি তাহলে সেটা কোনোভাবেই ন্যায্য হবে না। এলাকার এই অকৃত্রিম বন্ধুকে আমরা প্রতিদান দেবই। বিজয় তার হবেই।

গত ১০ বছরে দোহার-নবাবগঞ্জে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের অবদানের কথা স্মরণ করে অনেকেই মটরগাড়ি প্রতীকে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করেন। তারা বলেন, যমুনা গ্রুপ বা অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম না হলে জিনজিরা-কেরানীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ এবং দোহার-শ্রীনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পের ৪৬৯ কোটি টাকা অনুমোদন সম্ভব ছিল না।

তার সময়ে ১২২টি সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ হওয়া ছাড়াও ৯৫টি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, পদ্মার ভয়াল ভাঙন রোধে ২১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অবদানের কথা স্মরণ করে দোহার-নবাবগঞ্জের জনদরদি এই নেত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।

মটরগাড়ি প্রতীকের গাড়ি ভাংচুর : শুক্রবার বিকালে দোহার উপজেলার ধোয়াইর ইউনিয়নের ক্বারি সাহেবের মোড়ে মটরগাড়ি প্রতীকে প্রচারে অংশ নেয়া গাড়ি ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা।

এছাড়া এলাকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। মটরগাড়ি প্রতীকের প্রতি গণজোয়ার দেখে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা মটরগাড়ি প্রতীকের সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

গাড়ি ভাংচুর প্রসঙ্গে মটরগাড়ি প্রতীকের গাড়িচালক মো. ফিরোজ বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ সড়ক দিয়ে নৌকা প্রতীকের একটি মিছিল যাচ্ছিল। ওই মিছিলের কারণে আমি গাড়ি একপাশে পার্ক করে রাখি। এ সময় কয়েকজন সমর্থক আমার গাড়ি ভাংচুর করে। তারা মটরগাড়ি প্রতীকের অনেক পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে।

আপনার মতামত দিন