ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনইয়নের মধুরচর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে আবুল কালাম (৩২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বললেও নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে কালামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে দোহারের পশ্চিম নূরপুর গ্রামের মো. নজরুল শিকারীর ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের মধুরচর গ্রামের প্রবাসী তোতা ফকিরের মেয়ে সোমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী সোমা ও শাশুড়ি আরজু বেগমের সঙ্গে কালামের বনিবনা হচ্ছিল না।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2024/06/rashed-chokder-adha24-min.jpg)
এলাকার লোকজন জানায়, প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে কালাম তার শ্যালিকা রিমা আক্তারকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসতে টাঙ্গাইলে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় রিমাকে নিয়ে মধুরচরে আসেন কালাম। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কালাম ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শাশুড়ি আরজু বেগমের সঙ্গে তার হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে কালামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাশের বিভিন্ন অংশে আঘাত ও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে কালামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহত কালামের বাবা মো. নজরুল শিকারী বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। ছেলেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু তিন বছরেও কথা রাখেনি। এ নিয়ে আমার ছেলে কথা বললে তাকে গালাগাল এমনকি সবাই মিলে মারধর পর্যন্ত করত। ’
দোহার থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2023/08/protiva-coaching-ad-primary-teacher-2023-min.jpg)