আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার ফজিলত

1
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার ফজিলত

ইসলামি শরিয়তে একজন মুসলমানের জন্য আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করাকে কোনো গুনাহই মনে করা হয় না। ইহকালে ঐক্য ও সমঝোতা সৃষ্টি এবং পরকালে জান্নাত লাভের সর্বোত্তম উপায় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। নিচে আত্মীয়তা রক্ষার কয়েকটি ফজিলত আলোচনা করা হলো।

. গুনাহ মাফ হয়: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.) কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি একটি বড় গুনাহ করে ফেলেছি। সুতরাং আমার জন্য কি তওবা আছে?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার কি মা আছে?’ সে বলল, ‘নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কি খালা আছে?’ সে বলল, ‘জি হ্যাঁ।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘অতঃপর তার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করবে।’ (তিরমিজি: ১৯০৪)

 . রিজিক আয়ু বাড়ে: আনাস ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে তার রিজিক ও বয়স বেড়ে যাক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে।’ (বুখারি: ৪৮৩০)

অন্য খবর  হেফাজতে ইসলাম ঢাকা জেলা দক্ষিণ কমিটি গঠিত

 . জান্নাতের পথ সহজ হয়: আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমাকে এমন একটি আমল দেখিয়ে দিন, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘একমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না। সালাত কায়েম করবে, জাকাত দেবে ও নিজ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবে।’ লোকটি রওনা করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘সে যদি আদিষ্ট বিষয়গুলো আঁকড়ে ধরে রাখে, তাহলে সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি: ১৩৯৬)

আপনার মতামত দিন