ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে উদ্ধারকৃত বাগডাসটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে গ্রামবাসী। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, দোহার উপজেলা প্রশাসনকে বারবার ফোন করেও যখন আতঙ্কিত গ্রামবাসীকে কোন সহায়তা করতে রাজি হন নি, তখনই গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে এই বাঘডাসটি খুজে বের করে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। এখনো ধারনা করা হচ্ছে দুটি ছানাসহ একটি বাঘডাস অবস্থান করছে মাহমুদপুর ইউনিয়নে। একদিকে এলাকাবাসী যেমন আতঙ্কিত, ঠিক একইভাবে হুমকির মুখে রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় ৩টি প্রাণী।
একসময় গ্রাম অঞ্চলে সচরাচর দেখা যাওয়া বিড়াল জাতীয় এই শিকারী প্রাণীটি এলাকাভেদে গন্ধগোকুল ও খাটাশ নামেও পরিচিত। হাস-মুরগী ও ছোটখাট গৃহপালিত পশু শিকার করে থাকে এই প্রাণীটি।
বুধবার দিন থেকেই মাহমুদপুরে এই বাঘডাস আতংক ছড়িইয়ে পড়ে। মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল মিয়াকে এই ব্যাপারটা জানানো হলে তিনি তাচ্ছিল্য ভরে বাঘডাসটির ছবি তুলে আনতে বলেন, এবং ছবি তুলে আনলে এই ব্যাপারটা বন্য প্রানী অধিদপ্তরে তিনি জানাবেন বলে জানান। এরই মাঝে আতংক বাড়তে থাকায় শুক্রবার সকালে মাইকে ঘোষনা দিয়ে সবাইকে জানানো হয় যে, বাঘ এসেছে মুন্সী বাড়ি পুরাতন ক্লাবের পাশে ছোট কাশ বনে তাই বাঘ কে ধরা হবে সকাল ১০টায়।
এ মাইকিং শুনে গ্রামের সবাই ১০টার দিকে নেমে যায় বাঘডাস শিকারে। এই সময় কাশ বনে কিছুক্ষন খোজাখুজির পর বাগদাসার ছানার সন্ধান মিলে। তখন আতঙ্কিত একটি বাঘডাস আঘাত করে ও একজনকে আচর কেটে আবার বনে লুকিয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে বনে আগুন লাগিয়ে ও সারা বন তল্লাশি করে একটি বাঘদাসা কে আটক করা হয় এবং টেটা দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে বাঘডাসটি হত্যা করা হয়।
সবাই ধারনা করছে ওখানে বাচ্চা সহ আরো তিনটি বাঘডাস আছে। চারদিন ধরে বাগডাস এর আওয়াজ ও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
বাঘডাসটি হত্যার পর মাহমুদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে এসে পরিদর্শন করেন এবং বন্যপ্রাণী বিভাগ ও প্রশাসন কে ফোন দেন।