ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গকারীর শাস্তি

0

প্রত্যেক সুস্থ, সাবালক ও বাড়িতে অবস্থানকারী মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কঠিন শাস্তির কথা এসেছে।

হজরত আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম, আমার কাছে দুই ব্যক্তি আগমন করল। তারা আমার বাহু দুটো ধরে এক দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে এলো। তারপর আমাকে বলল, আপনি পাহাড়ের ওপর উঠুন। আমি বললাম, আমি তো উঠতে পারব না। তারা বলল, আমরা আপনাকে সহজ করে দেব। আমি ওপরে উঠলাম। যখন পাহাড়ের সমতলে পৌঁছলাম, হঠাৎ ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি বললাম, এসব কীসের আওয়াজ? তারা বলল, এটা জাহান্নামিদের আর্তনাদ। তারপর তারা আমাকে নিয়ে এগিয়ে চলল। হঠাৎ কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদের তাদের পায়ের মাংসপেশির মাধ্যমে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুখের দুই প্রান্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং তা থেকে রক্ত ঝরছে। আমি বললাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের সময় হওয়ার আগেই রোজা ভেঙে ফেলে।’ (ইবনে খুজাইমা: ১৯৮৬; ইবনে হিব্বান: ৭৪৪৮)

অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওজর-অপারগতা বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা পরিত্যাগ করবে, সে যদি ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখে, তবুও ওই এক রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।’ (তিরমিজি: ৭২৩)

অন্য খবর  শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা, মিনার পথে হজযাত্রীরা

রোজা ভঙ্গ করা এমন অন্যায়, যার ক্ষতি অপূরণীয়। তবে রোজা ভঙ্গকারীর ব্যাপারে শরিয়তের বিধান হলো, বাহ্যিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার ওপর রোজার কাফফারা ওয়াজিব। আর তা পালন হবে এভাবে, প্রথমত, ক্রীতদাস মুক্ত করতে হবে। তবে বর্তমানে যেহেতু দাসপ্রথা চালু নেই, তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্তব্য হলো, দুই মাস বিরতিহীন রোজা রাখতে হবে। তা সম্ভব না হলে তৃতীয় পর্যায়ের কর্তব্য হলো, ৬০ জন অভাবীকে পেটভরে দুবেলা আহার করাতে হবে। (সুরা মুজাদালা: ০৩-০৪; ফাতাওয়ায়ে শামি: ২/৩১২; ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম: ৬/৪৪৭)

 

আপনার মতামত দিন