লটাখোলা টু কার্তিকপুরঃ কেউ কথা রাখেনি

683

সেতু মন্ত্রীর ১ বছর সফর হলেও আজও ঠিক হয়নি দোহারের লটাখোলা টু কার্তিকপুর সড়কের মেরামত কাজ। অনেকে বাস্তা দিয়ে কার্তিকপুর যাতায়াত করলেও এই সড়কটিও ক্ষতিগ্রস্থের দিকে। কথা দিয়ে কেঊ কথা রাখেনি। অথচ দোহারে উন্নয়নের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তাই ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার সড়কে সংস্কার কাজে অবহেলা ও যাত্রী দুর্ভোগ এলাকাবাসীর জন্য যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত বছরের ৭ মার্চ তিনি ঝটিকা সফরে যান। কিন্তু সওজের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে বিগত ১০ মাসেও দোহারের বাঁশতলা থেকে মৈনট ফেরিঘাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার গর্ত ও খানাখন্দ-আজও দৃশ্যমান।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। দরপত্র প্রক্রিয়াও শেষ। এম আর কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার পর কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। যে কোনো সময় কাজ শুরু হবে।
এলাকাবাসী জানায়, সেতুমন্ত্রীর আকস্মিক পরিদর্শনে দোহার-নবাবগঞ্জের সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের অবহেলার কারণে এলাকাবাসীকে সেই আগের দুর্ভোগেই রাস্তা চলতে হচ্ছে। তারা সালমান এফ রহমানের নিয়মিত আগমে স্বপ্ন দেখেছিলেন দ্রুতই শেষ এবং শুরু হবে মেরামত কাজ। কেননা দোহারের এ সড়ক দিয়ে শুধু দোহার-নবাবগঞ্জবাসীই নয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, খুলনা অনেক মানুষ সহজ পথে রাজধানী পৌঁছতে মৈনট ফেরিঘাট হয়ে নবাবগঞ্জ দিয়ে অল্প সময়ে যাতায়াত করে। ফলে প্রতিদিন শত শত যানবাহনে হাজার হাজার যাত্রী এ পথে চলাচল করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুন্সীগঞ্জ রেঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, সংস্কার কাজের জন্য প্রায় কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঠিকাদারকে কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন